আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,962 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
মামা, চাচা মাহরাম কিন্তু খালু, ফুফা মাহরাম নয় এর দলিল কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলার কিছু মাহারাম রয়েছে। এবং কিছু গায়রে মাহরাম রয়েছে।ফিতনার আশংকা না থাকলে মাহরামের সামনে পর্দা ফরয নয়।তবে শরীরকে অবশ্যই শালীনতার সাথে ঢেকে রাখতে হবে।মাহরামের সামনে শরীরের কতটুকু অংশ প্রকাশ করা যাবে?এ সম্পর্কে জানুন-

এখন প্রশ্ন হল মাহরাম কারা?আল্লাহ তা'আলা মাহরাম সম্পর্কে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَٰكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنْكُمْ ۖ وَاللَّهُ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ ۚ وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ۚ ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ ۚ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا [٣٣:٥٣]إِنْ تُبْدُوا شَيْئًا أَوْ تُخْفُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا [٣٣:٥٤]لَا جُنَاحَ عَلَيْهِنَّ فِي آبَائِهِنَّ وَلَا أَبْنَائِهِنَّ وَلَا إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ أَخَوَاتِهِنَّ وَلَا نِسَائِهِنَّ وَلَا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ ۗ وَاتَّقِينَ اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا [٣٣:٥٥]
অনুবাদ-হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।

মাহরাম কারা? এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2722

১৪জন মাহরাম ব্যতীত বাদবাকী সবাই গায়রে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। গায়রে মাহরামের সামনে সম্পূর্ণ পর্দা করতে হবে।এ সম্পর্কে জানুন-


শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত পুরুষ কখনো গায়রে মাহরাম মহিলাকে দেখতে পারবে না।মহিলা, গায়রে মাহরাম পুরুষকে কি দেখতে পারবে?এ সম্পর্কে মাতবিরোধ থাকলেও বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মহিলাও গায়রে মাহরাম পুরুষকে দেখতে পারবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাহরাম অর্থ যাকে বিয়ে করা হারাম।আপন চাচা এবং আপন মামাকে বিয়ে করা হারাম।কিন্তু ফুফা বা খালুকে বিয়ে করা হারাম নয়।তাই তারা গায়ে মাহরাম।যেহেতু এরা কুরআন হাদীসে বর্ণিত মাহরামের লিষ্টে আসেনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
edited by
জাঝাকাল্মালহু খইরন ।
মামা, চাচাকে বিয়ে করা হারাম আর খালু, ফুফাকে বিয়ে করা জায়েয এর দলিলটা একটু উল্লেখ করলে ভালো হত।

আর হুজুর, 'মহরাম' শব্দের শাব্দিক অর্থ  কি 'যাদের সাথে বিয়ে হওয়া জায়েয' নাকি 'যাদের সাথে দেখা দেওয়া জায়েয', কোনটা ?
by (597,330 points)
মাহরাম হারাম শব্দ থেকে উদগত হয়েছে।মাহরাম অর্থ হলো,যার সাথে বিয়ে হারাম।

মামা এবং চাচার সাথে যেহেতু  রক্তের সম্পর্ক তাই তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে না।

তবে ফুফা বা খালুর সাথে যেহেতু রক্তের সম্পর্ক নেই , তাই তারা যখন ফুফৃু বা খালার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে,তখন তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে।তবে ফুফুৃ বা খালার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকাবস্থায় তাদের সাথে বিয়ে জায়েয হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...