আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ


আমার ভাই বিদেশে থাকে প্রায় ৬/৭ বছর হয়ে গেছে। যে টাকা আয় করে তা দেশে সুদি ব্যাংকে আমার নামে যে মেয়াদি স্কিম গুলো আছে সেগুলো করে রেখেছে।দ্বীনের জ্ঞান না থাকার কারনে এই হারামের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম। হিদায়াত পাওয়ার পর থেকে চাইলেও এই হারাম থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না ।পরিবার মানে না । বাবাকে বলেছিলাম এইটা সুদ বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়েছি যে সুদতো সম্পূন্নভাবে আল্লাহ হারাম করে দিয়ছেন। ওনাকে বলেছি যে ভাইকে বলতে আমি আর এই হারাম লেনদেন সাথে কোনভাবেই যুক্ত থাকতে পারবোনা । তিনি আমার কথা শোনেন না বলে এটা পুরোপুরি সুদ না বিভিন্ন যুক্তি দেখায় আবার বলেন যে সুদ হলে যার টাকা সে যদি না বোঝে তাহলে সে গোনাহগার হবে আমার কিছু হবে না। মা বলেন বিয়ের জন্য দেখছেন বিয়ে হয়ে গেলে তো আর থাকতে হবে না ।আমরা তো জানি যে সুদের সাথে যুক্ত থাকাও হারাম। কয়েকদিন আগে ভাইকে বলেছিলাম আমি পারবোনা এই  এই লেনদেন করতে কিন্তু তিনি শোনেনি দ্বীনের জ্ঞানের অভাবে বলে আল্লাহর দুনিয়াতে ১০০% হালাল কিছু নেই আরো অনেক কিছু বলে আমাকে  বকাবকি করেছে ছোট থেকেই ভাইকে ভয় পাই এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি ও হয়েছে। যেহেতু আমি অবিবাহিত মেয়ে তাই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেও পারবো না।

এখন এইসব নিয়ে প্রতিনিয়ত আমার মনে অশান্তি বিরাজ করে। প্রচন্ডভাবে হতাশায় ভুগছি। যখনি এই হারামের কথা মনে হয় ইবাদতে মন বসেনা। মনে হয় আমার ইবাদত কবুল হবে তো? কারন হারামের সাথে থাকলে তো ইবাদত কবুল হয়না ।শারীরিকভাবে কিছু অসুস্থ। একটু বেশি অসুস্থ হলে মনে হয় আমি যদি হারামের সাথে যুক্ত থেকে তাওবা না করে এখন মারা যাই আল্লাহ কখনো আমাকে ক্ষমা করবেন না। তখন আরো অসুস্থ হয়ে যাই। সব সময় এইটা নিয়ে মানসিকভাব অশান্তিত থাকি।

ভাই ২/৩ বছর পরে দেশে চলে আসবে । তখন তিনি তার টাকা নিয়ে যাবেন । আমি যদি এখন খুব জোর করে বলি যে আমি আর পারবোনা এই হারামের সাথে থাকতে ।তখন হয়তো তিনি আমার উপর রাগ করবে বকাবকি করে বাবার নামে ব্যাংকে টাকাগুলো রাখবে বাবার বয়স হয়েছে ।মানে পরিবারে একটা অশান্তি হবে আরকি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার করনীয় কি? ভাই ফিরে আসা পর্যন্ত বা আমার বিয়ে হওয়া পর্যন্ত যেভাবে টাকাগুলো আমার নামে আছে সেই ভাবে রেখে দেব ? নাকি যাই হয়ে যাক এখনই মানে কয়েক মাস পর টাকাগুলোর মেয়াদ শেষ হবে  মেয়াদ শেষ হবার আগে যাইলেও আমি স্কিম ভাঙতে পারবো না । এরপর কি এইসব থেকে বেরিয়ে আসা উচিত?


আফওয়ান কথাগুলো বুঝিয়ে লিখতে পারলাম কিনা জানি না একটু কষ্ট করে বুঝে নিয়েন উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এখানে আপনার নামে শুধু সেই একাউন্ট খোলা হয়েছে মাত্র,মূলত  সেখান হতে মূল টাকাও আপনি পাবেননা,তার লাভও আপনি পাবেননা।
আপনার ভরনপোষণ সেই হারাম টাকা হতে হচ্ছেওনা,সুতরাং আপনার ইবাদাত বান্দেগী কবুল হবে।

এক্ষেত্রে আপনার নামে উক্ত একাউন্ট হওয়ায়  সূদী কাজে সহযোগিতার গুনাহ আপনার হচ্ছে।  

সুতরাং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চাইলেও যেহেতু আপনি স্কিম ভাঙতে পারবেননা,তাই এক্ষেত্রে আপনার ভাইকে বলে দিবেন যে এই হারাম টাকার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার।
এতে আপনার কোনো দায়ভার নেই।

এরপর প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 343 views
...