জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জেনে শুনে চুরিকৃত সম্পদ ক্রয় করা জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ (سورة المائدة-2
অনুবাদ-তোমরা গোনাহ ও সীমালংঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না।( সুরা মায়িদা-২)
রাসুল স. ইরশাদ করেছেন,
وفى سنن البيهقى الكبرى- عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال : من اشترى سرقة وهو يعلم أنها سرقة فقد اشرك في عارها واثمها ( سنن البيهقى الكبرى-كتاب البيوع، باب كراهية مبايعة من أكثر ماله من الربا أو ثمن المحرم، رقم-৫/৩৩৫
অনুবাদ-আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেছেন যে, যে ব্যক্তি কোন চুরির বস্তু চুরির মাল জেনেও ক্রয় করে তবে সেও সেই অপরাধে এবং গোনাহে শরীক হবে।(সুনানে বায়হাকী-৫/৩৩৫)
★উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিস থেকে এটা জানা গেল চুরি হওয়া মালামাল জেনে শুনে ক্রয় করা বৈধ নয়। কেননা এতে করে চোরকে উৎসাহ প্রদান সহযোগিতা করা হয়।
যে ব্যক্তি জেনে-শুনে তা ক্রয় করল সেও কবীরা গুনাহে শরিক হলো। উপরন্তু এ ক্রয়-বিক্রয় যেহেতু ভুয়া তাই না ক্রেতা এ পণ্যের মালিক হবে না বিক্রেতা মূল্যের মালিক হবে। এদের উভয়ের উপর ফরয,পণ্য মূল মালিককে ফেরৎ দেওয়া।
(আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/১১০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজের অজান্তে অনিচ্ছাকৃত ভাবে যদি চুরির মাল ক্রয় করে ফেলা হয়,তাহলে এতে গুনাহ হবেনা।
তবে যখনই বিষয়টি সম্পর্কে সে অবগত হবে যে এটি চুরিকৃত,তখনই এটি তার মূল মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে।
যদি মালিককে ফেরত দেয়া না যায়,মালিককে খুজে পাওয়া না যায়,তাহলে চোরের কাছে ফেরত দিয়ে মূল্য ফেরত নিবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে যেহেতু আপনারা জেনে গিয়েছেন যে তাহা চুরিকৃত ছিলো।
সুতরাং আপনার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে সেই ল্যাপটপ টি দ্রুত মালিককে ফেরত দিবে।
তাহা অসম্ভব হলে তার সেই ফ্রেন্ড এর নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে।
উক্ত ল্যাপটপ ব্যবহার করা আপনাদের কাহারো জন্যই জায়েজ হবেনা।