আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি ছোট থেকেই বোরখা পরি , হিজাব পরি। নাক এর উপর কিছু দিলে আমার সমস্যা হয়। এমনকি অনেকে যে ঘুমানোর সময় মুখের উপর কাপর দেয়, এভাবে একটু দিলেই নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয়। ক্লাস সিক্স এ যখন বোরখা পড়া শুরু করি তখন মুখ খোলা রাখতাম। অনেক পরে একটু একটু চেষ্টা করতাম মুখের উপর নিকাব দেয়ার। একদিন আমার বান্ধবি যখন দেখে যে আমি মুখ আটকালে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে প্রব্লেম হচ্ছে তারপর ও বার বার চেষ্টা করছি , তখন সে বলল যে ইসলাম এতো কঠিন না। এরপর অনেক পরে আবার একটু চেষ্টা করতে শুরু করছি, কিন্তু আমি নিকাব টা নাকের নিচে পর্যন্ত রাখি। মানে নাক টা বের করে রাখি। আর আমার বাসার পরিবেশ অতো বেশি ইসলামিক ও না। আমার খুব ইচ্ছে আছে মাহারাম, নন মাহারাম মেইনটেইন করে পর্দা করার। ইন শা আল্লাহ ! আল্লাহ চাইলে খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবো। কিন্তু এখন আমি IOM মাদ্রাসা তে পড়ি । দ্বীনের পথে আসার চেষ্টা করছি তবে মনের মধ্যে বার বার হচ্ছে যে আমি তো ফরজ একটা বিধান লঙ্ঘন করতেসি।
মুখ টুকু কি শুধু খোলা রাখা জায়েয আছে? আমার কি এখন অনেক গুনাহ হচ্ছে? মনের মধ্যে শান্তি পাচ্ছি না অন্য আমল গুলো করে। দয়া করে জানাবেন, পর্দার ক্ষেত্রে মুখ খোলা রাখা জায়েয আছে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يا ايها النبى قل لازواجك وبناتك ونساء المؤمنين ...
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব : ৫৯)

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমন্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে। (ফাতহুল বারী ৮/৫৪)

ইবনে সীরিন বলেন, আমি (বিখ্যাত তাবেয়ী) আবীদা (সালমানী রাহ.)কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, কাপড় দ্বারা মাথা ও চেহারা আবৃত করবে এবং এক চোখ খোলা রাখবে।

উপরোক্ত আয়াতে পরপুরুষ আর গায়রে মাহরাম সবাই শামিল।

পরপুরুষ আর গায়রে মাহরাম পুরুষ পর্দার ক্ষেত্রে প্রায় সবাই বরাবর ও সমান। এমনকি গায়রে মাহরাম আত্মীয়র সাথে ফিতনার আশংকা অত্যন্ত প্রবল।সুতরাং গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে অন্যান্যর তুলনায় উত্তমরূপে পর্দা করা জরুরী। কেননা আত্মীয়তার সুবাদে শয়তান এখানে তার কর্মকান্ন্ড চালাতে বেশ সুযোগ পায়।

গায়রে পুরুষের সাথে কথা বলা ও নেকাব পড়া ব্যতীত তাদের সামন দিয়ে যাতায়ত সবই হারাম। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উক্ত মহিলাদের পর্দা প্রথা ও পদ্ধতি কখনো ইসলামিক  হতে পারে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফিতনার আশংকা মূলত মুখ থেকেই তৈরী হয়ে থাকে। তাই আপনাকে যে করেই মুখ ঢেকে রাখতে হবে।প্রয়োজনে সুতি কাপড় দ্বারা মুখ ঢাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...