আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
১. এমন কোনো কথা যেটা মুখে বললে তালাক হয়ে যায়, কিন্তু সেটা শুধু মনের মধ্যে এসেছে কিন্তু মুখে বলা হয়নি তাহলে কি তালাক হতে পারে?

২. গত ৭ থেকে ৮ মাস আগে আমি অনেক বেশি ওয়াসওয়াসা তে আক্রান্ত ছিলাম, এখনো মাঝে মধ্যে ওয়াসওয়াসা মনের মধ্যে সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে তালাক সম্পর্কিত ওয়াসওয়াসা বেশি আসে মনের মধ্যে হটাৎ হটাৎ। একদিন আমি আর আমার স্ত্রী কথাবার্তা বলার সময় হটাৎ করে আমার স্ত্রী পোশাক ঠিক করতে থাকে এবং আমি একটু রাগী কণ্ঠে বলি যে, "হ আমার সামনে পর্দা কর" এই কথাটা আমি বলেছি আমার স্ত্রীকে এটা বোঝানোর জন্য যে, আমার সামনে পর্দা করার দরকার নেই। এইজন্য পরক্ষনেই আমি আবার স্ত্রীকে বলেছি যে আমার সামনে পর্দা করার দরকার নেই।

"হ আমার সামনে পর্দা কর" এই কথাটা বলার সময় আমি স্বাভাবিক ভাবেই কথা বার্তা বলতে ছিলাম। দুইজনেই স্বাভাবিক ভাবে কথা বার্তা বলতে ছিলাম। এমনিতেই খুনসুটির ছলে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু বলার পর ওয়াসওয়াসা শুরু হয়। আমরা মানুষরা যেমন অনেক সময় একে অপরকে খোচা দিয়ে কথা বলে থাকি, বিষয়টা আসলে ওইভাবেই বলা হয়েছিল।

এখন আমার মনে বার বার ওয়াসওয়াসা আসছে যে আমি আবার ভুলভাল কিছু বলে ফেললাম কিনা। আমার মনে তালাকের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আমি শুধু স্ত্রীকে বোঝানোর জন্য বলেছিলাম। এর কারণে কি কোনো ধরনের তালাক সম্পর্কিত কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা একটু জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...