ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/25908/ ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
সুদ গ্রহণ,
সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া, তা দিয়ে ব্যবসা
করা, অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন
الَّذِينَ
يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ
الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ
مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ
جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى
اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
[٢:٢٧٥
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয়
ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ
এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা
ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ
থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায়
সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}
হাদীস শরীফে এসেছে
عبد
الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله
وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ
ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই
লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো, সেটা হালালই
থাকছে। যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো। তবে সুদী লেনদেনের কারনে মহান আল্লাহ
তায়ালার কাছে খালেছ দিলে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।
ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন
https://www.ifatwa.info/1085
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উল্লেখ্য যে, ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হারাম। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার
পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো, সেটা হালালই
থাকছে। যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো। তবে সুদী লেনদেনের কারনে মহান আল্লাহ
তায়ালার কাছে খালেছ দিলে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।
১-২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহতু হালাল টাকাও আছে তাই আপনার
নানা বাড়িতে যাওয়া ও খাওয়া জায়েজ আছে। আবার যেহেতু আপনার মামারা চাকরির টাকায়
খাওয়াতে চেয়েছেন। তাই সেখানে যাওয়া ও খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।