আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার মামারা লোন নিয়ে বাড়ি করে আমার নানু ও। আর এই বাড়ি থেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা আসে। আমি জানি না এখনো সব পরিশোধ হয়েছে কি না। তবে এখানে হালাল টাকাও আছে। আমি হালাল বা হারামের পরিমাণ টা ও জানি না। তবে বাড়িতে বেড়াতে গেলে খুব সম্ভবত তারা ঐ বাড়ির টাকাতেই খাবার খাওয়াবে। আমি না যাওয়ার কারণে আম্মু নানিকে কল করে বলে (কিছুদিন আগে) যাতে আমরা গেলে মামাদের চাকরির টাকায় খাওয়ায়। আর নানি বলেন ঠিক আছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে-

১)উস্তায আমি কি নানিবাড়িতে যাবো নাকি যাবো না।সতর্কতাবশত যদি আমি না যাই তাহলে আম্মু অসন্তুষ্ট হবেন। এখন গেলে কি আমার গুনাহ হবে। আমি কী করব?

২) যদি বলেন যে, যতটুকু খাব সেটা দান করে দেব। কিন্তু ওটাও আমার পক্ষে সম্ভব না। কারণ আমার যা দরকার হয় আমার বাবাই সব কিনে দেন আমার কাছে কোনো টাকা রাখেন না। বাট প্রতি মাসে ৫০০ করে দেন, ওটা এমনি জমানোর জন্য(আমার টাকা জমাতে ভালো লাগে),খরচ করার জন্য নয়।
এখন আমার করণীয় কি উস্তায?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/25908/ ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া, তা দিয়ে ব্যবসা করা, অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন 

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

 

হাদীস শরীফে এসেছে 

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

,

ব্যাংক লোন হারাম। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো, সেটা হালালই থাকছে। যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো। তবে সুদী লেনদেনের কারনে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে খালেছ দিলে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।        

 

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন

https://www.ifatwa.info/1085

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

উল্লেখ্য যে, ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হারাম। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো, সেটা হালালই থাকছে। যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো। তবে সুদী লেনদেনের কারনে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে খালেছ দিলে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।        

 

১-২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহতু হালাল টাকাও আছে তাই আপনার নানা বাড়িতে যাওয়া ও খাওয়া জায়েজ আছে। আবার যেহেতু আপনার মামারা চাকরির টাকায় খাওয়াতে চেয়েছেন। তাই সেখানে যাওয়া ও খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...