আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমি সব জিনিস নিয়ে ওভার থিংক করি।যাইহোক আমি কোনো স্বপ্ন দেখলে সে ব্যাখ্যা জানি আর না জানি নিযে নিজে অনেক ব্যাখ্যা বানাই মনে মনে।পরে আবার ভয় হয় যে সেটা হয়ে যাবে নাকি আল্লাহ মাফ করুক।এক্ষেত্রে নিজে নিজে মনে স্বপ্নের ব্যাখ্যা করলে কি সেটা হয়ে যাবে?যে ব্যাখ্যা করেছি সেটা যাতে না হয় এক্ষেত্রে আমি কিভাবে দুআ চাইতে পারি আল্লাহর কাছে?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

স্বপ্নের ব্যাখ্যা যেভাবে করা হয় তা-ই অনেক সময় সংঘটিত হয়। 
তাইতো দেখি ইউসুফ আলাইহিস সালাম স্বপ্নের ব্যাখ্যাকে ফতোয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন তিনি তার জেল সঙ্গী দুজনেকে তাদের জানতে চাওয়া স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়ে বলেছিলেন, তোমরা দুজনে যে বিষয়ে ফতোয়া চেয়েছিলে তার ফয়সালা হয়ে গেছে। (সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪১)

সুতরাং স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানার জন্য আলেম কিংবা কল্যাণকামী ব্যতীত কারো কাছে তা বর্ণনা করা উচিত নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

إذا رأى أحدكم رؤيا فلا يحدث بها إلا ناصحا أو عالما الراوي: أنس بن مالك المحدث: الألباني - المصدر: السلسلة الصحيحة - الصفحة أو الرقم: 120 خلاصة حكم المحدث: صحيح 

তোমাদের কেউ স্বপ্ন দেখলে তা ন আলেম কিংবা কল্যাণকামী ব্যতীত কারো কাছে তা বর্ণনা করবে না। (বর্ণনায় : মুসতাদরাক, শায়খ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) 

 عن أنس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "إن الرؤيا تقع على ما تعبر، فإذا رأى أحدكم رؤيا فلا يحدث بها إلا ناصحاً أو عالماً. المستدرك: (4/391) وقال صحيح الإسناد ولم يخرجاه، ووافقه الذهبي، وصححه أيضاً الألباني في سلسلة الأحاديث الصحيحة (120). 

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: স্বপ্নের যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয় সেভাবে তা বাস্তবায়িত হয়। যখন তোমাদের কেউ স্বপ্ন দেখবে তখন আলেম অথবা কল্যাণকামী ব্যতীত কারো কাছে তা বর্ণনা করবে না। (বর্ণনায় : মুসতাদরাক, শায়খ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)

 أخرج أبو داود والترمذي وابن ماجه، عن أبي رزين العقيلي، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "الرؤيا على رجل طائر، ما لم تعبر، فإذا عبرت وقعت. أخرجه أبو داود: (4/305) كتاب الأدب - باب ما جاء في الرؤيا - رقم (5020). 

আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ আবু রাযীন আল উকাইলী থেকে বর্ণনা করেন, নবি কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: স্বপ্ন হল, উড়ন্ত পা- এর মত। (যা ভাল ও খারাপ উভয়ের সম্ভাবনা রাখে) যতক্ষণ না তার ব্যাখ্যা করা হয়। যখন একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয় তখন তা বাস্তবায়িত হয়। 
(আবু দাউদ ৫০২০)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেই ব্যখ্যা মনে করেছেন,সেটি হবেই এমনটি শতভাগ নিশ্চিত এর সহিত বলা যায়না।

তবে হতেও পারে।

সুতরাং স্বপ্নটি মন্দ হলে উক্ত স্বপ্নের অনিষ্টতা হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।  আর কাহারো কাছে স্বপ্নটি বর্ণনা করবেননা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।
(বুখারী শরীফ ৬৫১৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...