তালা* এর অধিকার সংক্রান্ত এবং প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন

Question

১.স্বামী কিছুদিন মানসিক সমস্যার কারণে সাময়িক ভাবে যৌন সমস্যায় ভুগতেছিল। তখন সে স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা মেটাতে পারতো না। তখন সে তার স্ত্রীকে বলে, "তুমি তো মনে হয় থাকবা না"। মানে স্বামী অক্ষম হলে অনেক স্ত্রী সংসার করে না এইটা ভেবে বলছে।
এতে করে কি স্ত্রী তা*** এর অধিকার পেয়েছে? পেয়ে থাকলে কিভাবে অধিকার এর ক্ষমতাচুত করা যাবে?

২. স্বামী স্ত্রীর অর্ধেক মহর আদায় করেছে। পরে সে স্ত্রীকে বাকি টাকার কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে বলে "তুমি তাইলে আরো এত লক্ষ টাকা পাওনা আছো।" এই কথা বলার সময় স্বামীর মনে হয় এইটা আবার কেনায়া বাক্য হলো কিনা। যদিও স্বামী শ্রেফ তার মহর আদায় করতে হবে এই ভেবেই বলেছে। আসলেই কি কেনায় হয়?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাক হবে না,কেনায়া তালাক হবে না।এবং স্ত্রী ও কোনো প্রকার তালাকের অধিকার পাবে না।

Comments

হুজুর আরেকটি বিষয় নিয়ে একটু সমস্যায় আছি। আপনার সাথে একটু কথা বলার সুযোগ করে দিলে অনেক উপকৃত হতাম। 

এখানে প্রশ্ন করে বিষয় টা পরিষ্কার করতে পারবো না।

হুজুর একটা নম্বর দেওয়া যাবে কথা বলার জন্যে?