জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শরীর,কাপড় পবিত্র করার জন্য ভালো ভাবে ধৌত করতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَسْمَاءَ قَالَتْ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ ، فَقَالَتْ: إِحْدَانَا يُصِيبُ ثَوْبَهَا مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ، كَيْفَ تَصْنَعُ بِهِ، قَالَ: تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
আসমা বিনতে আবূ বকর (রা.) বলেন: একদিন একজন মহিলা নাবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ), আমাদের কারও কাপড়ে যদি হায়েযের রক্ত লেগে যায় তখন সে কি করবে? তিনি বললেন: রক্তের জায়গাটি ভালোভাবে রগ্ড়াবে, তারপর পানি দিয়ে কচলিয়ে উত্তমরূপে ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর ঐ কাপড় পরে সালাত আদায় করতে পারবে।
(বুখারী; মুসলিম হা/ ২৯১)
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ، ثُمَّ تَقْتَرِصُ الدَّمَ مِنْ ثَوْبِهَا عِنْدَ طُهْرِهَا، فَتَغْسِلُهُ وَتَنْضَحُ عَلَى سَائِرِهِ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
‘আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের কারও হায়েয হলে, পাক হওয়ার পর রক্ত রগড়িয়ে কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে সেই কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন।
(বুখারী হা/ ৩০৮ ; ইবনে মাজাহ হা/ ৬৩০)
عن أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ قالتُ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ ﷺ عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يَكُونُ فِي الثَّوْبِ قَالَ: حُكِّيهِ بِضِلْعٍ، وَاغْسِلِيهِ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ
উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে হায়েযের রক্ত কাপড়ে লাগলে কি করতে হবে তা জিজ্ঞেস করি। তিনি (ﷺ) বলেন: প্রথমে এক খণ্ড কাঠ দিয়ে তা খুঁচবে অতঃপর কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে ধৌত করবে।
(আবূ দাউদ হা/ ৩৬৩; নাসাঈ ১/১৯৫; ইবনে মাজাহ হা/ ৬২৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
★শরীয়তের বিধান হলো যতক্ষন পর্যন্ত নাপাকির আছর (চিন্হ) অন্য বস্তুর মধ্যে প্রকাশ না পায়,ঐ সময় পর্যন্ত উক্ত বস্তু নাপাক হয়না।
এই জন্য যদি আপনার হাতে নাপাকি লেগে শুকনো হয়ে যায়,তাহলে সেটা দ্বারা শুকনো যেকোনো বস্তু স্পর্শ করতে পারবেন।
,
তবে সেই হাত দ্বারা ভেজা কোনো বস্তু,ভেজা কাপড় স্পর্শ করলে সেটা নাপাক হয়ে যাবে।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 57851 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 347):
"والحاصل أنه على ما صححه الحلواني: العبرة للطاهر المكتسب إن كان بحيث لو انعصر قطر تنجس وإلا لا، سواء كان النجس المبتل يقطر بالعصر أو لا. وعلى ما في البرهان العبرة للنجس المبتل إن كان بحيث لو عصر قطر تنجس الطاهر سواء كان الطاهر بهذه الحالة أو لا، وإن كان بحيث لم يقطر لم يتنجس الطاهر، وهذا هو المفهوم من كلام الزيلعي في مسائل شتى آخر الكتاب".
সারমর্মঃ শুকনো কোনো নাপাক কাপড়ে যদি ভেজা পাক কাপড় রাখা হয়,তাহলে উক্ত ভেজা পাক কাপড় যদি এমন হয়,যেটা নিংড়ালে পানি টপকিয়ে পড়ে,তাহলে এর দ্বারা উক্ত পাক কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
,
وَإِزَالَتُهَا إنْ كَانَتْ مَرْئِيَّةً بِإِزَالَةِ عَيْنِهَا وَأَثَرِهَا إنْ كَانَتْ شَيْئًا يَزُولُ أَثَرُهُ وَلَا يُعْتَبَرُ فِيهِ الْعَدَدُ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ فَلَوْ زَالَتْ عَيْنُهَا بِمَرَّةٍ اكْتَفَى بِهَا وَلَوْ لَمْتَزُلْ بِثَلَاثَةٍ تُغْسَلُ إلَى أَنْ تَزُولَ، كَذَا فِي السِّرَاجِيَّةِ. . . . . وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ مَرْئِيَّةٍ يَغْسِلُهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَيُشْتَرَطُ الْعَصْرُ فِي كُلِّ مَرَّةٍ فِيمَا يَنْعَصِرُ وَيُبَالِغُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ حَتَّى لَوْ عَصَرَ بَعْدَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ وَيُعْتَبَرُ فِي كُلِّ شَخْصٍ قُوَّتُهُ وَفِي غَيْرِ رِوَايَةِ الْأُصُولِ يَكْتَفِي بِالْعَصْرِ مَرَّةً وَهُوَ أَرْفَقُ. كَذَا فِي الْكَافِي وَفِي النَّوَازِلِ وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة وَالْأَوَّلُ أَحْوَطُ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ. (الفتاوى الهندية، كتاب الطهارة، الْبَابُ السَّابِعُ فِي النَّجَاسَةِ وَأَحْكَامِهَا وَفِيهِ ثَلَاثَةُ فُصُولٍ، الْفَصْلُ الْأَوَّلُ فِي تَطْهِيرِ الْأَنْجَاسِ-1/42
কাপড়ে নাপাক লাগার পর যদি উক্ত নাপাক শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত স্থানে হাত বা কাপড় লাগলে তা নাপাক হবে না। শুকানোর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, নাপাক লেগে শুকিয়ে যাওয়া কাপড় নিংড়ালে কোন কিছু বের হয় না। অর্থাৎ কোন কিছুতে তা লাগলে নাপাকের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় না। তাহলে যে কাপড় শুকিয়ে যাওয়া নাপাকে লেগেছে সে কাপড় ও স্থান নাপাক হয় না। সুতরাং পেশাব শুকিয়ে গেলে উক্ত স্থানে হাত লাগার দ্বারা হাতে নাপাকীর চিহ্ন না দেখা যায়, তাহলে হাত বা কাপড় নাপাক হবে না।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত শুকনো হাত দ্বারা শুকনো গেঞ্জি,শুকনো যেকোনো কাপড় স্পর্শ করতে পারবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।