আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in সালাত(Prayer) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম
১/যদি এমন হয় যে কারও অধিনে কাজ করতে গেলে যদি প্রতিদিনই প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় শেষ হয়ে যায় তাহলে কি প্রতিদিনই সেটা কাজা করতে হবে?


২/ধরুন আমি কলেজে পড়ি আমার ক্লাস টাইম ১১টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত জার কারনে আমার যোহরের নামাজের ওয়াক্ত প্রতিদিনই শেষ হয়ে যায় এইক্ষেত্রে কি ওই কলেজে পড়া আমার জন্য জায়েজ হবে যেহেতু প্রতিদিনই নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়। "আর আল্লাহর হুকুম বাদ দিয়ে সৃষ্টির আনুগত্য করা জাবেনা" এইক্ষেত্রে কি আমি কলেজে ক্লাস করতে পারবো নাকি এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাদ দিব?

৩/নাকি প্রতিদিন কাজা আদায় করলেই হবে?

জদি প্রতিদিন কাজা আদায় করলেই হয় তাহলে তো আল্লাহর হুকুম বাদ দিয়ে মানুষের আইনকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।

৪/যদি এমন হয় যে নামাজ পড়ার জন্য সময় চাইলে সেটাও দেওয়া হয়না বা হবেনা এইক্ষেত্রে করনিয় কি?

৫/এক কথায় দুনিয়াবি কাজের জন্য যদি প্রতিদিনই নামাজ আদায় করতে না পারি অথবা কাজা হয় সেক্ষেত্রে কি ওই দুনিয়াবি কাজটা করা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلَاةُ، فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ»

হযরত আবু বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূ সাঃ ইরশাদ করেছেন, আমাদের ও [মুনাফিকদের মাঝে] অঙ্গিকার রয়েছে তাহল নামায। সুতরাং যে নামায ছেড়ে দিল সে কাফের হয়ে গেল। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১০৭৯] 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-

لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.

আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.

অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫

আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে নামাজ কাজা করা শরীয়ত অনুমোদন দেয়না।
এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে ওয়াক্তের মধ্যেই নামাজ আদায় করে নিবেন।
তাহা সম্ভব না হলে সেই চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। 

(০২)
কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে নামাজের বিরতি নিতে হবে।
তারা নামাজের বিরতি কোনোক্রমেই না দিলে
আপনার জন্য উক্ত ক্লাশ বর্জন করা আবশ্যক। 

হাদীস শরীফে এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃবলেন-

لا طاعة في معصية إنما الطاعة في المعروف

গোনাহের কাজে কারো বশ্যতা স্বীকার করা যাবে না।(শরীয়ত যাদের বিধিনিষেধ মেনে চলার আদেশ দিয়েছে তাদের) আদেশ শুধুমাত্র বৈধ ও নেকীর কাজে মানা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,

لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কারো বিধিনিষেধ কে মান্য করা যাবে না।(মুসনাদে আহমাদ-১০৯৮)

(০৩)
না,এভাবে নামাজ কাজা করা শরীয়ত অনুমোদন দেয়না।

(০৪)
চাওয়ার পর তারা সময় না দিলে আপনার জন্য উক্ত ক্লাশ বর্জন করা আবশ্যক। 

(০৫)
জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...