জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মাকরুহে তাহরিমি হারামের নিকটতম।
المكروه ما هو راجح الترك فإن كان إلى الحرام أقرب تكون كراهة تحريمية
মাকরুহ বলা হয় যেটাকে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম।
যদি এটা হারামের নিকটতম হয়,তাহলে এটা মাকরুহে তাহরিমি।
অন্যথায় সেটা মাকরুহে তানযিহি।
সূত্র: কাওয়াইদুল ফিকহ; আমীমুল ইহসান রহ.কৃত: পৃষ্ঠা- ৫০৩।
,
তাই ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অনবরত মাকরুহে তাহরিমি কোনো ভাবেই করা যাবেনা।
এর জন্য আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তওবা করতে হবে,আর জীবনেও এহেন কাজ করা যাবেনা।
তওবার মাধ্যমে সকল গোনাহই ক্ষমা হয়ে যায়।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ ۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ [٩:٣]
আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর,আর যদি মুখ ফেরাও,তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। [সূরা তওবা-৩]
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢
নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২]
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
তওবা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৩)
পোশাক সংক্রান্ত ইসলামী মূলনীতি জানুনঃ
স্বাভাবিক অবস্থায় শার্ট প্যান্ট পড়া বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
,
১ম পক্ষ নাজায়েজ বলেন।
২য় পক্ষের উলামায়ে কেরামদের মত অনুযায়ী আমরা বলতে পারি যে, কোন ব্যক্তি যদি ইসলামিক ড্রেসকোড মেনে অর্থাৎ ঢিলেঢালা শার্ট-প্যান্ট পড়লো,টাখনুর উপরে প্যান্ট পরিধান করলো,তার শার্ট-প্যান্ট পরিধানের দ্বারা তার শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশিত হলো না এবং অন্যান্য ইসলামিক নিয়মাবলী মেনে শার্ট প্যান্ট ট্রাওজার পরিধান করলো তাহলে সুন্নাহ পালন হবে।
.
★উলামায়ে কেরামদের মাঝে যেহেতু মতবিরোধ রয়েছে, তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শার্ট প্যান্ট না পড়াই উত্তম মনে করছি।
বিস্তারিত জানুনঃ