হুজুর,
আমি degree 1st year এ পড়ি, সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, তবে এর আগে কলেজে ইনকোস পরীক্ষা হয়েছিলো যেটাতে আমি পারিবারিক সমস্যার কারণে উপস্থিত হতে পারি নাই, এই ইনকোস পরীক্ষার ২০ নাম্বার ফাইনাল পরীক্ষায় যোগ করা হবে।
এখন কলেজে গেলে, কলেজের এক সহকারী আমাকে বলছিলো যে, যেহেতু তুমি পরীক্ষা দিতে পারো নাই তাই তোমার ব্যাপারে আমি হেড স্যারকে সুপারিশ করবো যেন নাম্বার একটু বাড়িয়ে দেন।
সহকারী ভাইটি কলেজে হেডকে বলবেন, যিনি আমাদের ইনকোস পরীক্ষার নম্বর দেন।
তো সহকারী ভাইটি আমার ব্যাপারে সুপারিশ করবে বলে ছিল এবং আবদার করেছিলো যে এই সুপারিশ করার জন্য তিনি আমার কাছে কিছু বিনিময় চান।
তখন আমি তাকে বলছিলাম টাকা দেয়া তো ঘুষ, আর এটা হারাম।
তখন তিনি বললেন যে এখানে ঘুষ কেন হবে? যেহেতু আমি আপনার কাজ করে দেবো,তাই আপনি আমাকে কিছু টাকা দেবেন। মানে তিনি হেড স্যারকে সুপারিশ করবেন যেন নাম্বার একটু বাড়িয়ে দেন। যেহেতু আমি পরীক্ষা একদমই দিতে পারি নাই।
তো কিছুক্ষণ পর ভাবলাম যে, ঠিকইতো, যেহেতু তিনি আমার জন্য সুপারিশ করবেন, তাই এর জন্য তাকে বিনিময় তো দিতে হবে। আর এটা তো বৈধ, ঘুষ হবে না। যেহেতু এখানে তিনি বৈধ কাজের বিনিময় নিচ্ছেন। যেহেতু সুপারিশ করা বৈধ। যেহেতু হুজুর ইনকোস পরীক্ষার নাম্বার আগামীকাল এর মধ্যেই National University তে চলে যাবে তাই সময় চলে গেলে আর করতে পারবো না। আমি তে কাউকে ঘুষ দিচ্ছি না, যেহেতু আমার জন্য সুপারিশ করবে তাই তাকে আমার থেকে কিছু বিনিময় দেবো।
তাই হুজুর আমার এখন প্রশ্ন হলো,
১| উনার এই সুপারিশের জন্য আমি কি তাকে টাকা দিতে পারবো? যেহেতু তিনি বৈধ কাজের জন্য সুপারিশ করবেন, আমার জন্য কাজ করবেন তাই তাকে এর বিনিময় দেয়া কি হালাল হবে না?
২| এখানে তো হুজুর, কোন ও খারাপ কাজ করা হচ্ছে না, যেহেতু তিনি বৈধ কাজের জন্য সুপারিশ করবেন তাই তাকে এর বিনিময় দেয়া কেন হারাম হবে?
৩| যেহেতু ভাইটি সুপারিশ করবেন, তাই তাকে এই সুপারিশ এর বিনিময়ে টাকা দেয়া তো হারাম হবে না। যেহেতু তিনি আমার কাজে সাহায্য করছেন তাই তাকে বিনিময় দেয়া তো হালাল হবে। আমি দ্বিধায় আছি, আমাকে এর সঠিক উত্তর দিন হুজুর।