জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ».
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয।
(শু‘আবুল ঈমান ৮৩৬৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৬৯৫,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৭৮১)
,
শরীয়তের বিধান মতে ছুটির দিন গুলো কাজের দিনের হুকুমেই।
তাই সেই দিন গুলোর বেতন গ্রহন নাজায়েজ নয়।
তবে অসুস্থতা এবং এবং নিজ প্রয়োজনীয় ছুটির দিন গুলোর বেতনের বিষয় টি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়মের উপর নির্ভর করবে।
যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের এই জাতীয় কোনো নিয়ম না থাকে,তাহলে সমাজে,অন্যান্য জায়গায় এটা কিভাবে হয় বলে প্রসিদ্ধ আছে,সেই অনুযায়ী আমল হবে।
অন্যান্য জায়গায় যদি বেতন দেওয়া প্রসিদ্ধ হয়,তাহলে বেতন দিবে,অন্যথায় নয়।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়্যাহ ৬/৩৫১)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এভাবে ছুটি না দিলেও তাবলিগে সময় লাগানো যাবেনা। ছুটি ছাড়া গেলে বেতন হালাল হবেনা।
(০২)
ছুটি নিয়ে গেলে এবং এভাবে গেলেও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বেতন দেয়ার নিয়ম থাকলে বেতন হালাল হবে।
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ডিউটি না করে ছুটি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিয়ম না মেনে চলে গেলে সে সময়টুকুর বেতন হালাল হবেনা।