পিসিওএস আছে, প্রশ্ন, আমি কি নামায পড়বো নাকি না?

Question

পিসিওএস আছে, তাই মাসিক অনিয়মিত হয়, আমার ১৬ তারিখ এক দুই ফোটা রক্ত যায়, তাই আমি নামায পড়ি নি আর, কিন্তু এরপরের দিন থেকে আবার যায় নি, তাও আমি ৩ দিন অপেক্ষা করে আবার নামায শুরু করি, আমার গত২ দিন আবার রক্ত গেলো মাসিকের রাস্তা দিয়েই, মানে ২৫,২৬ রক্ত গেলো দেখে নামায আবার ছেরেছি গতকাল এশা থেকে, আমার প্রশ্ন, আমি কি নামায পড়বো নাকি না?

Answer 1

জবাবঃ- 

بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।

এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   

أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام

دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61

রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 

উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।

(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।

(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

https://www.ifatwa.info/40252/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

প্রশ্নের বিবরন মতে ১৬ তারিখে যে রক্ত এসেছে,সেটি হায়েজ ছিলোনা।

সেটি ইস্তেহাজা ছিলো।

তাই সেই নামাজ গুলির কাজা আদায় করে নিতে হবে। 

এখন ২৫, ২৬ তারিখে যে রক্ত আসছে,

এখনকার এই রক্ত যদি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত আসে,তাহলে এটি হায়েজ। তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে গেলে অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসলে, ১০ দিনের মধ্যেও আর রক্ত না আসলে এটি ইস্তেহাজা। 

,

এক্ষেত্রে আপাতত এটিকে হায়েজ ধরে নিয়ে আপনি নামাজ বন্ধ রাখবেন।

★এটি যদি তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে যায়,১০ দিনের মধ্যে যদি আর রক্ত না আসে, অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসে,সেক্ষেত্রে যে কয়দিন নামাজ বন্ধ রেখেছিলেন,এ কয়দিনের নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন।

আর যদি এটি তিন দিনের মধ্যে বন্ধ না হয়,অথবা বন্ধ হলেও ১০ দিনের মধ্যে আবারো রক্ত আসে,তাহলে এটি হায়েজ।

এই দিন গুলোর নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।