আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি ইউকে তে স্টুডেন্ট ভিসায় এসেছিলাম। চেয়েছিলাম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সুইচ করব কিন্তু এর পূর্বেই সেটা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থায় সময় পার করছি। ফ্যামিলিতে প্রচুর টাকা রিন বাকি আছে। এখান থেকে অন্য কোনো কান্ট্রিতে মুভ ও করতে পারছিনা.. আরও কমপক্ষে ৩-৫ বছর লাগতে পারে সবকিছু গুছিয়ে দেশে যেতে।

দুই বছর আগে বিয়ে করে আমার স্ত্রীকে দেশে রেখে এসেছি।উনি এখানে আসতে চান নি আর আমার ও ইচ্ছে ছিলনা এখানে এনে উনাকে দিয়ে জব করাব। চেয়েছিলাম রিন কিছুটা দিয়ে দেশে চলে যাব। কিন্ত এখন যে পরিস্থিতি দাড়িয়েছে দেশে যাবার মতো কোনো রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিনা।

আমার স্ত্রী জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করতেন কিন্ত সহশিক্ষার বিষয়টা জানার পর ছেড়ে দিয়েছেন। আমিও এই ব্যাপারে খুশি ছিলাম।
এই দুই বছর বহু সবর আর পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে পার করেছি। এখানকার পরিবেশে নিজেকে টিকিয়ে রাখা অনেক বেশিইই কঠিন।আমি চাচ্ছিলাম আরও ২-১ বছরের ভিতরে একবার হলেও আমার স্ত্রীকে এখানে এনে ৩-৬ মাস রাখব আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দিলে।
কিন্তু এর জন্য উনার জেনারেল এর সার্টিফিকেট লাগবে। স্টুডেন্ট ভিসা ছাড়া আর কোনো সিস্টেমে আনতেও পারব না।
আমি চাচ্ছিলাম উনি শুধু এক্সামের সময় যেয়ে এক্সাম দিয়ে আসবেন।

এভাবে কি এক্সাম দেওয়াতে পারব?
উনাকে সেখানে নিয়ে কয়েকমাস রেখে আবার দেশে পাঠিয়ে দিলাম, এরকম কি করা যাবে?
আমাকে কোনো উত্তম পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করবেন। আমি এখন কি করব..আমার জন্য কি সিদ্ধান্ত নেয়া উত্তম হবে।
(প্রশ্নটা আমার জাওজের)

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


কুফফার রাষ্ট্রে লেখাপড়ার জন্য যেতে হলে অবশ্যই দুটো প্রধান শর্ত মেনে চলতে হবে।

প্রথম শর্ত: বসবাসকারীকে স্বীয় দ্বীনের ব্যাপারে আশঙ্কামুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ তার এমন ‘ইলম, ঈমান ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, যা তাকে দ্বীনের ওপর অটল থাকার মতো এবং বক্রতা ও বিপথগামিতা থেকে বেঁচে থাকার মতো আত্মবিশ্বাসের জোগান দেয়। আর কাফিরদের প্রতি তার অন্তরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ থাকতে হবে। অনুরূপভাবে কাফিরদের সাথে মিত্রতা ও তাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। কেননা তাদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করা এবং তাদেরকে ভালোবাসা ঈমানের পরিপন্থি।
সমস্ত প্রকার অন্যায় অশ্লীল কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেছেন,

 لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ 

“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোনো জাতিকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে; যদিও তারা তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, কিংবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়।” [সূরাহ মুজাদালাহ: ২২]

দ্বিতীয় শর্ত: নিজের দ্বীনকে প্রকাশ করার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ, বসবাসকারী ব্যক্তি কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ইসলামের নিদর্শনাবলি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। নামাজ, জুমু‘আহ ও জামা‘আত—যদি তার সাথে জামা‘আতে নামাজ ও জুমু‘আহ প্রতিষ্ঠা করার মতো কেউ থেকে থাকেন—প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। অনুরূপভাবে জাকাত, রোজা, হজ ও অন্যান্য শার‘ঈ নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। যদি এসব কাজ করার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তখন হিজরত ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে বসবাস করা জায়েজ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
মেয়েদের বিদেশে পড়াশুনা করার জন্য যাওয়া বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষ বৈধ।
ক, উপরে উল্লেখিত শর্তাবলী পূর্ণ ভাবে মেনে চলতে হবে।
খ, মাহরাম পুরুষ এর সাথে যেতে হবে।
গ, সেখানকার এলাকা,রাস্তা সম্পূর্ণ নিরাপদ হতে হবে।
ঘ, পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে চলতে হবে। 
ঙ, সহ শিক্ষা হলে সহ শিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার শর্তাবলী পাওয়া যেতে হবে। 

চ, ফিতনার কোনো আশংকা থাকা যাবেনা।
ছ, গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকা যাবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি ঐ দেশে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে লেখাপড়া করাতে চান,এক্সাম দিতে চান,সেক্ষেত্রে উপরোক্ত শর্তাবলী পূর্ণ ভাবে মানতে হবে।

আর যদি তাকে দেশেই লেখাপড়া করাতে চান,এক্সাম দিতে চান,সেক্ষেত্রে সহ শিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠানে  শর্তাবলী পূর্ণ ভাবে মানতে হবে। লেখাপড়া করার শর্তাবলী পাওয়া যেতে হবে। 

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...