আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম। আমি কেনায়া তালাকের ব্যাপারে জানতে চাই। আমার এবং আমার স্বামীর মধ্যে কিছু মনোমালিন্য হয়েছিল। তখন আমার স্বামী কিছু কথা বলেছিল। আমি জানতে চাইছি হুজুর ওই গুলো কি কোনো কেনায়া শব্দ এবং এতে কি কোনো তালাক হবে

১) আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমি কিছুদিন যাবত তার দিনকাল কেমন যাচ্ছে বা কি করছেন তার ব্যাপারে কোনো খোঁজ নেইনি। আমার অন্য কারনে মন খারাপ ছিলো তাই। এরজন্য আমার সাথে তিনি একটু ঝগড়া করেন আমিও ঝগড়া করি। তখন রাগ করে আমার স্বামী বললেন আমি একা আমার খোঁজ কেউ রাখেনা। যদি এরকমই চলতে থাকে কোনো কল বা মেসেজের দরকার নেই। তারপর আবার বললো- শুধু মাসে মাসে টাকা পাঠাবো, তুমি তোমার মতো চলো, আমি ফোন বন্ধ করে রাখব কোনো খোঁজ নেবনা দেশেও আসবনা। তালাকের নিয়তে বলেননি।

২) পরেরদিন আবার সামান্য ঝগড়া হয়। তখন ও রাগ করে বললেন আমি free থাকতে চাই। আমি free। এগুলো ও তালাকের নিয়তে বলেননি।

৩) কথাবার্তা বলার পর আমরা সবসময় মেসেজ এ bye এবং আল্লাহ হাফেজ লিখি। তখন আমি কোনো কথা বলতে চাইনি বলে bye লিখেছিলাম। যার অর্থ বিদায়। তিনি তখন আমার মেসেজ এর সাথে লিখলেন কেউ bye মানে আমাকে বলতে চেয়েছেন আমি বিদায়। আমি তালাকের জন্য bye লিখিনি বা তালাক চাইনি। আমি তখন আর কথা না বলার জন্য লিখেছিলাম। এটা কোনো মুযাকারায়ে তালাক হবেনা তো। এখানে ও তার তালাকের কোনো নিয়ত নেই।

৪) এরপর কথা বলিনি দেখে তিনি আরো রাগ করে বললেন যাও আল্লাহ হাফেজ আমিও তখন খুব বেশি রাগে আল্লাহ হাফেজ বলেছিলাম। আমি জানিনা এখানে তিনি তালাকের নিয়তে বলেছেন কি না।

হুজুর আমি জানতে চাচ্ছি উপরের কথোপকোথনে তুমি তোমার মতো চলো,  আমি free(আমি মুক্ত), আমি bye লিখার পর তিনি ও কেউ bye একথা আমাকে বলেছেন মানে আমি বিদায়, আল্লাহ হাফেজ এই সব গুলো ঝগড়াঝাটির সময় রাগ করে বলার কারনে কি কোনো সমস্যা হবে। উপরের সব কথা গুলো তিনি রাগ করে এবং অভিমান করে বলেছিলেন। আমাকে শুধু পয়েন্ট এর মতো উত্তর গুলো দিয়ে দিয়েন হুজুর।

** আরেকটা প্রশ্ন হুজুর। সেটা আমার বোনের। স্বামী যদি বিচ্ছেদ না করে স্ত্রীর কাছে এভাবে বলে যে- আমি স্বাধীন থাকতে চাই। এই চাওয়ার কারনেই কি কোনো তালাক হয়ে যাবে স্বামী না দেওয়া পর্যন্ত।

1 Answer

0 votes
by (57,270 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আপনার উপরে উল্লেখিত প্রশ্নগুলি ওয়াসওয়াসার কারণে এসেছে। ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...