আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু  আলাইকুম
যদি  প্রয়োজনের  তাগিদে  কোন  কাজ  করা  হয়  সেটা  কি  গুনাহ হবে ? যদি  কোন  মহিলা  কোন  সল্প  সময়ের  জন্য  স্টুডেন্টদের (মিটিং এর মাধ্যমে) থেকে  ইংরেজিতে পড়া লিখার  আপডেট  নেন  সেখানে শুধু তার ভয়েজ শুনা যাচ্ছে পড়া  লিখার  বাহিরে  অতিরক্ত  বলার  কোন  সুযোগ  নাই  এবং সেটা  স্টুডেন্টদের সুবিধার জন্য  ওয়েব সাইটে আপলোড করে রাখা  হয় তাহলে কি  সেটা  ঐ মহিলার  জন্য  জায়েজ  হবে ?জায়েজ না হলে  প্রয়োজনীয় কথা  মহিলারা কিভাবে  বলবেন ..ব্যবস্যা যদি  করতে চান কিভাবে  করবেন ..এতেকরে উপকার হবে এবং অতিরিক্ত কোনো কথা বলার সুযোগ নেই যেহেতু তারা ভিন্নভাষী।

এইটুকু  ছাড়  কি  এই যুগের জন্য  দেওয়া  যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَّﻌْﺮُﻭﻓًﺎ

(তরজমা) তোমরা (পর পুরুষের সাথে) বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন কর না। যাতে এরূপ লোকের অন্তরে আকাঙ্ক্ষা (সঞ্চার) হয়, যার অন্তরে কুপ্রবৃত্তি রয়েছে। (সূরা আহযাব : ৩২)

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻟَﺎ ﺗَﺪْﺧُﻠُﻮﺍ ﺑُﻴُﻮﺕَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻥ ﻳُﺆْﺫَﻥَ ﻟَﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﻃَﻌَﺎﻡٍ ﻏَﻴْﺮَ ﻧَﺎﻇِﺮِﻳﻦَ ﺇِﻧَﺎﻩُ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﺇِﺫَﺍ ﺩُﻋِﻴﺘُﻢْ ﻓَﺎﺩْﺧُﻠُﻮﺍ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻃَﻌِﻤْﺘُﻢْ ﻓَﺎﻧﺘَﺸِﺮُﻭﺍ ﻭَﻟَﺎ ﻣُﺴْﺘَﺄْﻧِﺴِﻴﻦَ ﻟِﺤَﺪِﻳﺚٍ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺆْﺫِﻱ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﻓَﻴَﺴْﺘَﺤْﻴِﻲ ﻣِﻨﻜُﻢْ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﺴْﺘَﺤْﻴِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﻣَﺘَﺎﻋًﺎ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺣِﺠَﺎﺏٍ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻃْﻬَﺮُ ﻟِﻘُﻠُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻭَﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻦَّ ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻥ ﺗُﺆْﺫُﻭﺍ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻥ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟَﻪُ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِﻩِ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﻛَﺎﻥَ ﻋِﻨﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻈِﻴﻤًﺎ

হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।(সূরা আহযাব-৫৩)

উপরোক্ত আয়াতের ভিত্তিতে বলা যায় যে,
পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে কোনো বেগানা নারীর সাথে কথা বলা নিষেধ।তবে গায়রে মাহরাম আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পর্দার আড়ালে থেকে বলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
সূরা আহযাব : ৩২; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৭৬৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০৩৮; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৫৯; রদ্দুল মুহতার ১/৪০৬; ইমদাদুল ফাত্তাহ পৃ. ২৬৯

প্রশ্ন হল নারীদের আওয়াজ কি সতরের অন্তর্ভুক্ত?
এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।এমনকি হানাফি মাযহাবের উলামাদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে-
হানাফি উলামাদের কিছুসংখ্যকের গবেষকদের বর্ণনামতে নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত।তবে এ রেওয়াত মারজুহ(অগ্রগণ্য নয়)।
অন্যদিকে কিছুসংখ্যক গবেষকদের বর্ণনামতে নারী আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।এ রেওয়াত-ই রাজেহ(অগ্রগণ্য) ।অর্থাৎ ফিৎনার অাশঙ্কা না থাকলে কোমলতা পরিহার করে প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে নারী কথা বলতে পারবে।
.
বিস্তারিত জানুনঃ   
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্টুডেন্টরা সকলেই যদি মহিলা হয়,আর সেই ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখার পর কোনো গায়রে মাহরামের তাহা শোনার কোনোক্রমেই অপশন না থাকে,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ হবে।

অন্যথায় জায়েজ হবেনা।

নারীরা পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে বিশেষ প্রয়োজন হলে ব্যবসা করতে পারবে। কোনো পুরুষকে দায়িত্ব দিয়ে ব্যবসা করবে,এমন ব্যবস্থা না হলে নিজেও ব্যবসা করতে পারবে, সেক্ষেত্রে ক্লাইন্ট দের সাথে প্রয়োজন অতিরিক্ত কথা বলা যাবেনা।  পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারবে। ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা।
,
শরয়ী সীমারেখার আওতায় থেকে নারীরা যেকোনো চাকুরী করতে পারে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
যদি  ফেতনার  আশংকা  না  থাকে  তবুও জায়েজ  না এটা ?
by (561,180 points)
জায়েজ হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...