জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সুদের সাথে জড়িত ব্যক্তির সাথে আত্মীয়তা করা থেকে প্রতিটি মুমিনেরই বিরত থাকা উচিত।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ، إِلاَّ تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ، وَفَسَادٌ عَرِيضٌ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কাছে এমন লোক বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমরা পছন্দ কর, তখন বিবাহ দিয়ে দাও [মাল-সম্পদের দিকে লক্ষ্য করো না]। যদি তা না কর তবে দেশে ফিতনা ও ব্যাপক ফাসাদ দেখা দেবে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১০৮৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৯৬৭]
সুদী প্রতিষ্ঠানের কোন কোন সেক্টরে চাকুরী জায়েজ নেই, বিস্তারিত জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/72970/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
স্বামীর ইনকাম হারাম হলে, স্বামীর ইনকাম থেকে আপনি শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্তই গ্রহণ করতে পারবেন।এরচেয়ে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা যাবে। সুতরাং ব্যাংকার পাত্রকে বিয়ে করলে শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্তই গ্রহণ করতে পারবেন।অতিরিক্ত কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পাত্রের ইনকাম হালাল কিনা? সেটাই হলো মূল বিষয়।
কেননা আপনার ভরনপোষণ তো পাত্রকে দিতে হবে।
সুতরাং পাত্রের ইনকাম হালাল হলে তার পরিবার সুদের সাথে জড়িত হোক, প্রকাশ্যে সুদ খাক,এতে আপনার সমস্যা নেই।
★আর যদি পাত্রের ইনকামও হারামই হয়,সেক্ষেত্রে বিধানঃ-
সুদী কারবারে জড়িত সকল প্রকার চাকুরী হারাম।আর হারাম মাল দ্বারা ভালো কিছু আশা করা যায়না।
সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার জন্য করনীয় হলো যথাসম্ভব এমন বিবাহে রাজি না হওয়া।
হ্যাঁ যদি এছাড়া আপনার নিকট আরো কোনো অপশন না থাকে,বা আপনাকে পরিবারের চাপে বিবাহ বসতেই হয়, তাহলে আপনি তার সাথে বিবাহ বসতে পারবেন,তার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় ভরণপোষণ নিতে পারবেন।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিতে পারবেননা।
স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর।সে যেখান থেকেই ভরণপোষণ সংগ্রহ করুক,সেটা স্ত্রী গ্রহন করতে পারবে,এতে হারাম মাল হলে গুনাহ শুধুমাত্র স্বামীরই হবে। স্ত্রীর নয়।
আরো জানুনঃ