আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি বাসার কাজকর্ম করার সময় সাধারণত ইসলামিক লেকচার শুনতে শুনতে করি। এতে লেকচার শোনাও হয়, আবার কাজের কষ্ট কম অনুভূত হয়। মোবাইল বাথরুমে না এনে বাথরুমে কাপড় কাচাকাচির সময় কি তা শোনা যাবে? লেকচারে তো কুরআনের আয়াতও তিলাওয়াত হয়, আবার আল্লাহর নামও নেওয়া হয়।

১. যদি বাথরুমের বাইরে মোবাইল রেখে ব্লুটুথ ইয়ারফোনের মাধ্যমে কাপড় কাচার সময় শোনা হয়? এক্ষেত্রে শব্দ সরাসরি শুধুমাত্র আমার কানের ভিতরেই আসছে। নাকি বাথরুমের ভিতর আল্লাহর নাম নেওয়ার শামিল হয়ে যাবে আবার।

২. যদি বাথরুমের বাইরে ঠিক সামনেই জোরে বাজানো হয় যেন আমি বাথরুমে কাপড় কাচার সময় শুনতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআন শ্রবণের বিধান সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মাতবিরোধ রয়েছে।হানাফি মাযহাবের উলামায়ে কেরাম বলেন,ওয়াজিব।এবং বিধান কেফায়া পর্যায়ের বিধান। হাম্বলী মাযহাব মতে মুস্তাহাব।সুতরাং যারা ওয়াজিব বলেন,তাদের মাযহাব অনুযায়ী কুরআন শ্রবণের সময় নিশ্চুপ থেকে শ্রবণ না করলে শ্রবণকারী গোনাহগার হবে।আর যারা মুস্তাহাব বলেন,তাদের মতে শ্রবণ না করলেও গোনাহ হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2265


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কাজ করে করে কুরআন শ্রবণ করা যাবে না।তবে কাজ করে করে ওয়াজ শ্রবণ করা যাবে। যখন কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত হবে, তখন কাজ ছেড়ে দিয়ে কুরআনের আয়াতকে শ্রবণ করতে হবে। বাথরুমের বাহিরে মুবাইল রেখে  বাথরুমের ভিতর থেকে কাপড় কাচার সময় ওয়াজ না শুনাই উচিৎ। তবে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ নাজায়েয হিসেবেই বিবেচিত হবে।

(১) বাথরুমের বাহিরে মোবাইল রেখে ব্লুটুথ ইয়ারফোনের মাধ্যমে কাপড় কাচার সময় তিলাওয়াত শ্রবণ করা জায়েয হবে না। এবং ওয়াজ শ্রবণও অনুচিৎ।

(২)  বাথরুমের বাহিরে মুবাইল রেখে লাউড স্পীকার দিয়ে বাথরুমে কাপড় কাচার সময় শুনতে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ নাজায়েয। এবং ওয়াজ শ্রবণ অনুচিত। এমন ভাবে ওয়াজ শ্রবণ ফায়দাদায়ক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...