ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআন শ্রবণের বিধান সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মাতবিরোধ রয়েছে।হানাফি মাযহাবের উলামায়ে কেরাম বলেন,ওয়াজিব।এবং বিধান কেফায়া পর্যায়ের বিধান। হাম্বলী মাযহাব মতে মুস্তাহাব।সুতরাং যারা ওয়াজিব বলেন,তাদের মাযহাব অনুযায়ী কুরআন শ্রবণের সময় নিশ্চুপ থেকে শ্রবণ না করলে শ্রবণকারী গোনাহগার হবে।আর যারা মুস্তাহাব বলেন,তাদের মতে শ্রবণ না করলেও গোনাহ হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কাজ করে করে কুরআন শ্রবণ করা যাবে না।তবে কাজ করে করে ওয়াজ শ্রবণ করা যাবে। যখন কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত হবে, তখন কাজ ছেড়ে দিয়ে কুরআনের আয়াতকে শ্রবণ করতে হবে। বাথরুমের বাহিরে মুবাইল রেখে বাথরুমের ভিতর থেকে কাপড় কাচার সময় ওয়াজ না শুনাই উচিৎ। তবে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ নাজায়েয হিসেবেই বিবেচিত হবে।
(১) বাথরুমের বাহিরে মোবাইল রেখে ব্লুটুথ ইয়ারফোনের মাধ্যমে কাপড় কাচার সময় তিলাওয়াত শ্রবণ করা জায়েয হবে না। এবং ওয়াজ শ্রবণও অনুচিৎ।
(২) বাথরুমের বাহিরে মুবাইল রেখে লাউড স্পীকার দিয়ে বাথরুমে কাপড় কাচার সময় শুনতে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ নাজায়েয। এবং ওয়াজ শ্রবণ অনুচিত। এমন ভাবে ওয়াজ শ্রবণ ফায়দাদায়ক হবে না।