হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَفَرَّقَتِ الْيَهُودُ عَلَى إِحْدَى وَسَبْعِينَ أَوِ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَالنَّصَارَى مِثْلَ ذَلِكَ وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً "
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ বলেছেনঃ ইয়াহুদীরা একাত্তর অথবা বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল এবং খৃষ্টানেরাও অনুরূপ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উন্মাত বিভক্ত হবে তিয়াত্তর দলে।
হাসান সহীহঃ তিরমিজি ২৬৪০ ইবনু মা-জাহ (৩৯৯১)
শিয়াদের আকীদা সংক্রান্ত জানুনঃ
যাইদি শিয়া
শিয়া মাযহাবের সমস্ত ফিরকার মধ্যে এই ফিরকা টি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অধিক নিকটতম ছিলো। এই ফিরকা নিজেদের নিসবত যায়েদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী রাঃ এর দিকে করেন।
তাদের আকীদা মোতাবেক আম্বিয়ায়ে কেরামগন সাধারণ মানুষদের মতোই মানুষ।
কিন্তু হযরত আলী রাঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পর সবচেয়ে বেশি উত্তম।
এই ফিরকা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কোনো সাহাবিকে কাফের বলেনা। তিরস্কারও করেনা।
তাদের আকীদা এই যে, হযরত আলী রাঃ নিজেই প্রথম তিন খলিফার অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে সড়ে থেকেছেন, তথা খেলাফতের দায়িত্বগ্রহন হতে নিজেকে মুক্ত রেখেছেন।
এবং তার বাইয়াত বৈধ ছিলো।
কেননা হযরত আলী রাঃ তার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন।
কিন্তু পরবর্তী মতবিরোধ প্রকাশ পেলো,তখন তাদের নতুন ফিরকা হয়ে গেলো।
যার মধ্যে যাইদিয়া ফিরকা ব্যাতিত অন্যান্য সমস্ত দল সীমা অতিক্রম কারীদের মধ্যে গন্য হয়েছে।
অতঃপর শুদ্ধ আকীদার যাইদিয়া রাও ইয়ামান ইত্যাদিতে খুব কম সংখ্যক থেকে গেলো।
তাদের ও অন্যান্য শিয়া ফিরকাদের মধ্যে পার্থক্য এই যে তারা বারো ইমামকে আম্বিয়ায়ে কেরামদের মতো নিষ্পাপ মনে করে,তাদের আনুগত্য ফরজ বলে মনে করে।
বরং তাদের কিতাবের মধ্যে স্পষ্ট ভাবে ইমামদেরকে আম্বিয়ায়ে কেরামদের থেকে উঁচু বরং স্রষ্টার গুনে গুনান্বিত হওয়ার কথাও পাওয়া যায়।
(তারা যে শিরক করে,তাহা হতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র।)
পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবাদেরকে কাফের বলে,এবং বর্তমান কুরআনের মধ্যে (নাউযুবিল্লাহ) পরিবর্তন আছে বলে মনে করে।
এবং খুলাফায়ে রাশেদার বাইয়াতকে জুলুম,জোর জবরদস্তি মূলক বলে মনে করে।
বরং কেহ কেহ তো হযরত আলী রাঃ কে খোদা বলে দাবী করে।
এবং তার মাঝে আল্লাহ তায়ালার রুহের দাখিল হওয়ার আকীদা রাখে।
এবং কেহ কেহ এমন আছে,যারা হযরত আলী রাঃ কে রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে উত্তম,এবং নবুয়তের অধিক হকদার বলে মনে করে।
(নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)
(আল মুহাযারাতুল ইলমিয়্যাহ/রদ্দে শিয়িয়্যাত ১৩-২৬, জাওয়াহিরুল ফাতওয়া ১/২৮৪)