আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।
১.একজন বোন প্র‍্যাগনেন্সি টাইমে অনেক অসুস্থ থাকে। একদম বিছানা থেকে উঠতে পারে না, এরকম হয়ে যায়। এই অবস্থায় উনি কিভাবে সালাত আদায় করবে? উনার পক্ষে বসাও সম্ভব না। শুয়ে শুয়ে কি সালাত আদায় করা যাবে? তাহলে সেটা কিভাবে? একটু বিস্তারিত বলবেন দয়া করে।
২. একজন বোনের ১০ম রমজানে প্রসব হয়। ১-১০ তম রোজাতে উনার শারীরিক সমস্যা তেমন ছিলো না। ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞাও ছিলো না। কিন্তু উনি ৪ টা রোজা ভেঙ্গেছেন। তাহলে এই রোজাগুলো কি কাফফারা হিসেবে রাখতে হবে? কাফফারা দেয়ার নিয়ম কি?
৩. নামাজের মাঝে যদি সাদা স্রাবের কারণে অযু ভঙ্গ হয় তাহলে কি ওয়াশরুম থেকে প্রস্রাব করে ফ্রেশ হয়ে নতুন করে অযু করে আগের জায়গা থেকে নামাজ পড়া যাবে? নাকি নতুন করে পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ " 
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো ব্যক্তি দাঁড়াতে বা বসতে সক্ষম না হলে চিৎ হয়ে শুয়ে কিবলামুখী পা লম্বা করে দিয়ে অথবা ডান কাৎ হয়ে কেবলামুখি হয়ে শোয়ে ইশারায় নামাজ আদায় করবে। হ্যা, চিৎ হয়ে শুয়ে পরাই উত্তম। এক্ষেত্রে যেহেতু অক্ষমতার দরুণ পশ্চিম দিকে পা দেয়া হচ্ছে, তাই বিষয়টা রুখসতযোগ্য হবে তথা কা'বার সাথে বেয়াদবি হবে না।


(২)
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ
حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু গর্ভাবস্থায় তিনি রোযা ভঙ্গ করেছেন, তাই শুধুমাত্র  কাযা আসবে, কাফফারা আসবে না।


(৩
নামাজের মাঝে যদি সাদা স্রাবের কারণে অযু ভঙ্গ হয়, তাহলে ওয়াশরুম থেকে প্রস্রাব করে ফ্রেশ হয়ে নতুন করে অযু করে আগের জায়গা থেকে নামাজ পড়া যাবে। তবে সর্বাবস্থায়  নতুন করে পড়ে নেয়াটাই উত্তম।কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী সাদাস্রাব লাগলে উক্ত কাপড়ে নামায হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 138 views
...