আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
558 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রয়োজন :
১। আঙুল ঢাকা কি ফরজ?
২। সাধারণ গ্লাভস পরে কলম বা পেন্সিল দিয়ে লেখা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কি ফিঙ্গারলেস গ্লাভস পরিধান করা যাবে?

৩। আমার স্কুল ড্রেসের হাতা ফুল হাতা অপেক্ষা সামান্য ছোট। হাতের কব্জি পর্যন্ত ঢাকে না। এখন নতুন স্কুল ড্রেস কেনাও সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পর্দার উদ্দেশ্য ফিঙ্গারলেস লং স্লিভ বা ফিঙ্গারলেস লং গ্লাভস পরিধান করা কি জায়েজ হবে?
৪। বর্তমানে ওড়নার মতো বিভিন্ন ধরনের হিজাব পাওয়া যায়। সেগুলো বাধতে হয়। সিম্পলভাবে বেধে সেই হিজাবগুলো পরিধান করা কি জায়েজ হবে?
৫। হুডি/ বাটারফ্লাই নিকাব পরিধান করা কি জায়েজ?

1 Answer

+1 vote
by (574,080 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী চেহারা, হাত, মুখ, হাতের আঙ্গুলও ঢাকা জরুরি।  
,
 
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
নারী হল সতর তথা আবৃত থাকার বস্ত্ত। নিশ্চয়ই সে যখন ঘর থেকে  বের হয় তখন শয়তান তাকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকে। আর সে যখন গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করে তখন সে আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নিকটে থাকে।-আলমুজামুল আওসাত, তবারানী

এই হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়।

 আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নেকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে। (সহীহ বুখারী ৪/৬৩, হাদীস : ১৮৩৮)

কাযী আবু বকর ইবনে আরাবী বলেন, নারীর জন্য বোরকা দ্বারা মুখমন্ডল আবৃত রাখা ফরয। তবে হজ্বের সময়টুকু এর ব্যতিক্রম। কেননা, এই সময় তারা ওড়নাটা চেহারার উপর ঝুলিয়ে দিবে, চেহারার সাথে মিলিয়ে রাখবে না। পরপুরুষ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখবে এবং পুরুষরাও তাদের থেকে দূরে থাকবে। (আরিযাতুল আহওয়াযী ৪/৫৬)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশত কাপড় ঝুলিয়ে রাখে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। তখন উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে মহিলারা তাদের কাপড়ের ঝুল  কীভাবে রাখবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এক বিঘত ঝুলিয়ে রাখবে। উম্মে সালামা বললেন, এতে তো তাদের পা অনাবৃত থাকবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এক হাত ঝুলিয়ে রাখবে, এর বেশি নয়। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪১১৭; জামে তিরমিযী ৪/২২৩; সুনানে নাসাঈ ৮/২০৯; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১১/৮২

ইমাম তিরমিযী বলেন, এই হাদীসে নারীর জন্য কাপড় ঝুলিয়ে রাখার অবকাশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এটিই তাদের জন্য অধিক আবৃতকারী।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
সাধারণ গ্লাভস পরে কলম বা পেন্সিল দিয়ে লেখা সম্ভব নয়। 
সুতরাং  হাতমোজার আঙ্গুলের সামনের কিছু অংশ কেটে নেওয়া যেতে পারে।
এটাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হবে।   

তবে সেক্ষেত্রে ফিতনার আশংকা না থাকলে, প্রয়োজনে ফিঙ্গারলেস গ্লাভস পরিধান করা যাবে।
সেটি স্কীন কালারের হওয়া যাবেনা।
এবং কব্জির উপর পর্যন্ত কোনো ঢিলেঢালা কাপর পরিধান করবেন।

(০৩)
এক্ষেত্রে পর্দার উদ্দেশ্য ফিতনার আশংকা না থাকলে   ফিঙ্গারলেস লং স্লিভ বা ফিঙ্গারলেস লং গ্লাভস পরিধান করা যাবে।
তবে তাহা স্কীন কালারের হওয়া যাবেনা।
এবং কবজি পর্যন্ত এর উপরে কোনো ঢিলেঢালা কাপড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
নতুবা হাদীসের আটোসাটো কাপড় পরিধানের  নিষেধাজ্ঞার আওতা ভুক্ত হবেন।
 
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
,
(৪.৫)
ব্যবহার করা যাবে,তবে তাহা যদি পুরুষদের আকর্ষিত করে,তাহলে তাহার ব্যবহার জায়েজ হবেনা।
,  
কপাল ভ্রু খুলে রাখা যাবেনা।

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শায়খ হাতমোজা পড়ে দ্রুত লিখতে অসুবিধা হয়।কিন্তু পরীক্ষার সময় দ্রুত না লিখলে সব উত্তর হয় ত লিখা যাবে না।তাই শুধুমাত্র পরীক্ষার সময়টুকুতে কি কবজি পর্যন্ত হাত বা শুধু আঙ্গুল খোলা রাখা যাবে কি?
by (574,080 points)
জায়েজ হবেনা।
আপনি যদি কবজি পর্যন্ত হাত বা শুধু আঙ্গুল খোলা রেখে লিখেন,সেক্ষেত্রে গুনাহ হবে। ইস্তেগফার চালিয়ে যেতে হবে।
by
শায়খ কিছু মনে করবেন না,আসলে বুঝছি না বলেই জিজ্ঞেস করা।উপরের উত্তর টাতে ফিংগারলেস গ্লাভস পড়া যাবে বলেছেন। ফিংগারলেস গ্লাভসে তো আঙ্গুল (কখনো হাতের পাতাও)দেখা যায়।কিন্তু মন্তব্যতে বলেছেন আঙ্গুল খোলা রাখলে গুনাহ হবে।একটু বুঝিয়ে দিবেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...