ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।
এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
(ক)সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।
(খ)যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা ৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/50
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাদা স্রাব সামান্য একটু নির্গত হলেই অজু ভেঙ্গে যাবে।আর এক দিরহাম পরিমাণ কাপড়ে লাগলে সেই কাপড় দিয়ে নামাজ হবে না। তবে সাদা স্রাব বের হলে গোসল ফরয হয় না। সাদা স্রাব কোনো কাপড়ে লাগলে দৃশ্যমান সাদা স্রাব টুকু অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত ধৌত করতে হবে।
সাদাস্রাব কাপড়ে এক দিরহাম তথা ৫ টাকার সিকি সমপরিমাণ বা তারচেয়ে বেশী লাগা অবস্থায় উক্ত পরিহিত অবস্থায় যতটি নামায পড়েছেন, সবগুলো নামাযকে কাযা করতে হবে। কতটি নামায কাযা হয়েছে, পরিপূর্ণ জানা না থাকলে, অনুমানের ভিত্তিতে এক্ষেত্রে নামায পড়ে নিবেন।