জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সূরা ওয়াকেয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সূূূরা ওয়াকিয়াহ কখনো মাগরিব ও ঈশারের মধ্যবর্তী সময়ে না পড়তে পারলে, ঈশারের পর ঘুমানোর আগে পড়লে সমান ফযীলাত পাওয়া যাবে।
,
কোনো সমস্যা নেই ।
,
আরো জানুনঃ
(০২)
নাবালিগাহ মহিলার বিবাহ করালে বিবাহ হয়ে যায়।
তবে একটি মাসআলা হলো যদি তার বিবাহ তার পিতা অথবা তার দাদা দিয়ে দেয়,তাহলে মেয়ের বালেগাহ হওয়ার পর মেয়ের জন্য বিবাহ ভেঙ্গে দেওয়ার কোনো
ইখতিয়ার (সুযোগ) থাকেবেনা।
,
হ্যাঁ যদি নাবালিগাহ মেয়ের বিবাহ তার পিতা,দাদা ব্যাতিত অন্য কেহ দেয়,তাহলে সে বালেগাহ হওয়া মাত্র সে উক্ত বিবাহ ভেঙ্গে ফেলার সুযোগ থাকবে।
যদি সে বালেগাহ হওয়ার পর চুপ থাকে,তাহলে তার আর ইখতিয়ার থাকবেনা।
,
عن الحسن أنہ کان یقول: نکاح الأب جائز علی ابنتہ، بکرًا کانت أو ثیبًا کرہت لو لم تکرہ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۴۶ رقم: ۱۵۹۶۸ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ বাকেরাহ হোক বা ছাইয়্যিবাহ হোক,বাবা যদি তার মেয়ের বিবাহ দেয়,তাহলে সেটি জায়েজ।
عن مالک بن أنس قال: کان القاسم وسالم یقولان: إذا زوّج أبو البکر البکرَ فہو لازم لہا وإن کرہت۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۴۶ رقم: ۱۵۹۷۰ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ বাকেরাহ মেয়ের বিবাহ যদি তার বাবা দিয়ে দেয়,তাহলে এতে মেয়ে অসন্তুষ্ট হলেও বিবাহ ছহীহ।
وللولی إنکاح الصغیر والصغیرۃ جبراً، ولزم النکاح، وفي الشامی: أي بلا توقف علی إجازۃ أحد وبلا ثبوت خیار في تزویج الأب والجد۔ (شامي ۴؍۱۷۱ زکریا، کذا في البحر الرائق ۳؍۲۱۱ زکریا، مجمع الأنہر ۱؍۳۳۵ بیروت)
সারমর্মঃ মেয়ের অভিভাবক জোড় পূর্বক হলেও ছোট মেয়ে ছোট ছেলের বিবাহ করাতে পারবে।
بخلاف ما إذا زوجہما الأب والجدّ، فإنہ لا خیار لہما بعد بلوغہما؛ لأنہما کامل الرأي وافر الشفقۃ فیلزم العقد بمباشرتہما، کما إذا باشراہ برضاہما بعد البلوغ۔ (البحر الرائق / باب الأولیاء والأکفاء ۳؍۲۱۱ زکریا، کذا في مجمع الأنہر ۱؍۳۳۵ دار إحیاء التراث العربي بیروت)
সারমর্মঃ যদি মেয়ের বিবাহ তার পিতা অথবা তার দাদা দিয়ে দেয়,তাহলে মেয়ের বালেগাহ হওয়ার পর মেয়ের জন্য বিবাহ ভেঙ্গে দেওয়ার কোনো
ইখতিয়ার (সুযোগ) থাকেবেনা।
فان زوجہما الأب والجد فلا خیار لہما بعد بلوغہا۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۲۸۵ زکریا)
ولزم النکاح … إن کان الولي … أبا أو جدا۔ (شامي ۳؍۶۶ کراچی)
সারমর্মঃ যদি মেয়ের বিবাহ তার পিতা অথবা তার দাদা দিয়ে দেয়,তাহলে মেয়ের বালেগাহ হওয়ার পর মেয়ের জন্য বিবাহ ভেঙ্গে দেওয়ার কোনো
ইখতিয়ার (সুযোগ) থাকেবেনা।
۔
إن غیر الأب والجد إذا زوّج الصغیرۃ فبلغت وہي بکر، فسکتت ساعۃ بطل خیارہا، وجعل سکوتہا بمنزلۃ الرضا صریحاً، ولو کانت ثیبًا لایکون رضا إلا إذا وجد قول أو فعل یستدل بہ علی الرضا۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۳؍۴۸)
সারমর্মঃ বাবা,দাদা ব্যাতিত অন্য কেহ তার বিবাহ দিলে বালেগাহ হওয়া পর চুপ থাকে,তাহলে তার আর ইখতিয়ার থাকবেনা।
ولہما خیار الفسخ بالبلوغ في غیر الأب والجدّ بشرط القضاء (کنز) أي للصغیر والصغیرۃ إذا بلغا، وقد زوّجا أن یفسخا عقد النکاح الصادر من ولي غیر أب ولا جد بشرط قضاء القاضي بالفرقۃ، وہٰذا عند أبي حنیفۃ ومحمدؒ … بخلاف ما إذا زوجہما الأب والجدّ، فإنہ لا خیار لہما بعد بلوغہما؛ لأنہما کامل الرأي وافر الشفقۃ فیلزم العقد بمباشرتہما، کما إذا باشراہ برضاہما بعد البلوغ۔ (البحر الرائق / باب الأولیاء والأکفاء ۳؍۲۱۱ زکریا، کذا في مجمع الأنہر ۱؍۳۳۵ دار إحیاء التراث العربي بیروت)
সারমর্মঃ যদি বাবা,দাদা ব্যাতিত অন্য কেহ তার বিবাহ দেয়,তাহলে সে বালেগাহ হওয়া মাত্র সে উক্ত বিবাহ ভেঙ্গে ফেলার সুযোগ থাকবে।
যদি সে বালেগাহ হওয়ার পর চুপ থাকে,তাহলে তার আর ইখতিয়ার থাকবেনা।
ویبطل بسکوتہا إن علمت بکرًا لا بسکوتہ ما لمی قل رضیت، ولو دلالۃً أي ویبطل خیار البلوغ بسکوت من بلغت إلی آخرہ، اعتبارًا لہٰذہ الحالۃ بحالۃ في ابتداء النکاح، وأراد بالعلم العلم بأصل النکاح۔ (البحر الرائق / باب الأولیاء والأکفاء ۳؍۲۱۴ زکریا)
সারমর্মঃ বাবা,দাদা ব্যাতিত অন্য কেহ তার বিবাহ দিলে বালেগাহ হওয়া পর চুপ থাকে,তাহলে তার আর ইখতিয়ার থাকবেনা।
۔
(০৩)
রাসুল সাঃ জিবরাইল আঃ এর আসল চেহারায় ২ বার দেখেছিলেন।
মানব রুপি চেহারায় অনেকবার দেখেছেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنْتُ مُتَّكِئًا عِنْدَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا عَائِشَةَ ثَلاَثٌ مَنْ تَكَلَّمَ بِوَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَقُولُ : ( لَا تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ ) ، ( مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ) وَكُنْتُ مُتَّكِئًا فَجَلَسْتُ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْظِرِينِي وَلاَ تُعْجِلِينِي أَلَيْسَ يَقُولُ اللَّهُ : ( وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى )، ( وَلََقَدْ رَآهُ بِالأُفُقِ الْمُبِينِ ) قَالَتْ أَنَا وَاللَّهِ أَوَّلُ مَنْ سَأَلَ عَنْ هَذَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّمَا ذَاكَ جِبْرِيلُ مَا رَأَيْتُهُ فِي الصُّورَةِ الَّتِي خُلِقَ فِيهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " . وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا كَتَمَ شَيْئًا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ يَقُولُ اللَّهُ : ( يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ ) وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ عَلَى اللَّهِ وَاللَّهُ يَقُولُ : (قُلْ لاَ يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ الْغَيْبَ إِلاَّ اللَّهُ )
মাসরুক (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর নিকটে হেলান দিয়ে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, হে আবূ আয়িশাহ! তিনটি বিষয় এমন যে, কোন ব্যক্তি এগুলোর কোনটি বললে সে আল্লাহ তা'আলার উপর ভীষণ (মিথ্যা) অপবাদ চাপালো। যে ব্যক্তি এ ধারণা পোষণ করে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রভুকে দেখেছেন, সে আল্লাহ তা'আলার উপর ভীষণ অপবাদ আরোপ করল। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “দৃষ্টিসমূহ তাকে প্রত্যক্ষ করতে পারে না, কিন্তু তিনি দৃষ্টিসমূহকে অনুধাবণ করেন। তিনি অতিশয় সূক্ষ্মদশী, সম্যক ওয়াকিফহাল"- (সূরা আল-আন’আম ১০৩); “কোন মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তা'আলা তার সাথে কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম ব্যতীত অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতীত”– (সূরা আশ-শূরা ৫১)। আমি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলাম। আমি উঠে সোজা হয়ে বসে বললাম, হে উন্মুল মু'মিনীন থামুন, আমাকে বলার সুযোগ দিন, তাড়াহুড়া করবেন না। আল্লাহ তা'আলা কি বলেননি? “নিশ্চয়ই সে তাকে আরেকবার দেখেছিল"- (সূরা আন-নাজমঃ ১৩)। সে তো তাকে উজ্জ্বল দিগন্তে দেখেছে"- (সূরা আত-তাকবীর ২৩)।
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমিই সর্বপ্রথম এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তিনি বলেছেনঃ সে তো জিবরীল। আমি তাকে তার আসল আকৃতিতে এ দু'বারই দেখেছি। আমি তাকে আসমান হতে অবতরণ করতে দেখেছি। তার দেহাবয়ব এতো প্রকাণ্ড যে, তা আসমান ও যামীনের মাঝখানের সবটুকু স্থান ঢেকে ফেলেছিল।
(দুই) যে ব্যক্তি এ ধারণা করে যে, আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ করেছেন, তিনি তার কিছুটা গোপন করেছেন, সেও আল্লাহ তা'আলার উপর ভীষণ অপবাদ আরোপ করল। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ “হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা (লোকদের নিকট) পৌছে দাও..." (সূরা আল-মায়িদাহঃ ৬৭)।
(তিন) যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, আগামী কাল কি ঘটবে তিনি (মুহাম্মাদ) তা জানেন, সেও আল্লাহ তা'আলার উপর ভীষণ মিথ্যারোপ করল। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ “বল, আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত আসমান-যামীনে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না”— (সূরা আন-নামল ৬৫)।
(তিরমিজি ৩০৬৮)
,
(০৪)
মুস্তাজাবুত দাওয়াহ হওয়ার জন্য করনীয়ঃ
(০১)
হালাল ভক্ষন করা।
.
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: تليت هذه الآية عند رسول الله: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلالًا طَيِّبًا}، فقام سعد بن أبي وقاص، فقال: يا رسول الله ادع الله أن يجعلني مستجاب الدعوة فقال له النبي: "يا سعد أطب مطعمك تكن مستجاب الدعوة، والذي نفس محمد بيده إن العبد ليقذف اللقمة الحرام في جوفه ما يتقبل منه عمل أربعين يومًا وأيما عبد نبت لحمه من سحت فالنار أولى به".
হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত “হে মানবসমাজ, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষণ কর।” [সূরা বাকারা-১৬৮] আয়াতটি তিলাওয়াত করা হল।
তখন সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আমার জন্য দুআ করুন যেন আল্লাহ আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া [দুআ করলে সাথে সাথে কবুল হয় এমন] বানিয়ে দেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাদ! তুমি তোমার খাবারকে পবিত্র রাখো, [হালাল ভক্ষণ কর] তুমি মুস্তাজাবুত দাওয়া হয়ে যাবে।
যে সত্তার হাতে মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রাণ তাঁর কসম! নিশ্চয় কোনো বান্দার পেটে যদি হারাম এক লোকমরা খাবারও প্রবেশ করে, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। আর ব্যক্তির যে মাংসপিন্ড হারাম সম্পদ বা সুদের টাকায় বৃদ্ধি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামই উত্তম।
[আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৪৯৫, আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-২৬৬০]
.
(০২)
ইখলাছের সহিত একনিষ্ঠ ভাবে দোয়া করা।
فعن النعمان بن بشير رضي الله عنه قال: وقد قال الله تعالى مبينًا وجوب إخلاص العبادة له: {وَمَا أُمِرُوا إِلاَّ لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ}[البينة: 5]
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা একনিষ্ঠ ভাবে ইবাদত করতে বলেছেন।
অর্থঃ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায কায়িম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।
(০৩)
গুনাহ এবং আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া করা যাবেনা।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يَزَالُ يستجاب للعبد ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم».
,
(০৪)
দোয়ার সময় কলব হাজির রাখতে হবে,আল্লাহর দিকে মুতাওজ্জুহ হয়ে দোয়া করতে হবে,কবুল হবেই বিশ্বাস রেখে দোয়া করতে হবে।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم: {ادْعُوا الله وأنتم موقنون بالإجابة، واعلموا أن الله لا يستجيب دعاءً من قلب غافل لاه}.
,
(০৫)
নেক আমল করার মাধ্যমে এবং গুনাহ থেকে বেচে থাকার মাধ্যমে আল্লাহকে ভয় করতে হবে।
قال تعالى: {إِنَّ اللَّهَ لا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلا مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ}[الرعد: 11.
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
,
(০৬)
দোয়া কবুল হওয়ার ব্যপারে কোনো তারাহুড়া করা যাবেনা।
النبي صلى الله عليه وسلم: «يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ ما لم يَعْجَل، يقول دَعَوْتُ فلم يستجب لي»
হারাম খাবার খাওয়া,বেনামাজির রান্না করা খাবার খাওয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
অনলাইনে তাফসীরের জন্য পড়ুন
★তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন, মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী, অনুবাদ : মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম।
★মাআরিফুল কুরআন, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. অনুবাদ : মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রাহ. (আট খণ্ডে)
★তাফসীরে উছমানী, মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানী। (৪ খণ্ডে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত)
,
★ফিকাহ এর কিছু কিতাব
বেহেশতী জেওর, অনুবাদ : মাওলানা আহমদ মায়মূন, উস্তায, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ।
,
★আহকামে জিন্দেগী
মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ।
,
ইসলামী জিন্দেগী
মাওলানা মানসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ।
★ফাতাওয়া ও মাসাইল, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
★হাদীস ও মাসায়েলে আহনাফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
★ নবীজীর নামাজ, অনুবাদ : মাওলানা যাকারিয়া আবদুল্লাহ।
★দলীলসহ নামাযের মাসায়েল, মাওলানা আবদুল মতীন।
,
★উল্লেখিত সমস্ত কিতাব অফলাইনে আছে। অনলাইনেও আছে।
কিছু যদি অনলাইনে না পাওয়া যায়,তাহলে কোনো ইসলামী লাইব্রেরি থেকে নিতে পারেন।
,
★হাদীসের কিতাব
সহীহ বুখারী
সহীহ মুসলিম
সুনানে আবু দাউদ
সুনান আত-তিরমিজী
সুনানে নাসাই
সুনান-এ-ইবনে মাজাহ
কুতুব আস-সিত্তাহ ব্যতীত
মুয়াত্তা ইমাম মালিক
সুনান আদ-দারিমী
মুসনাদে আহমাদ
সহীহ ইবনে খুজাইমাহ
সহীহ ইবনে হিব্বান
আল-মুস্তাদরাক আলা আল-সহীহাইন (তালখিস আল-মুস্তাদরাক)
আল-তাবারানীর আল-মুযাম আল-কবির
আল-তাবারানীর আল-মুযামুল আওসাত
আল তাবারানীর আল-মুযাম আস-সাগির
মুসনাদ আল তায়ালিসি
মুসনাদ আবু আওওয়ানা
মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহ
আবদুল আল রাজ্জাকের মুসান্নাফ
আল-আদাব আল-মুফরাদ
সুনান আল-কুবরা লিল বাইহাকী ( আল-সুনান আল-কবির )
শুয়াব উল ইমান (তারই কিতাব)
শামাইল মুহাম্মাদিয়া (শামাইল তিরমিযী)
মুসান্নাফ ইবনে জুরায়জ
সুনান আল-কুবরা লিল নাসা'ই
মিশকাত আল-মাসাবিহ
মাসবিহ আল-সুন্নাহ
রিয়াযুস সালিহিন
বুলুগ আল-মারাম
,
বাকি বিষয় গুলো জানতে এই বিষয়ে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিলে ভালো হয়।
,
(০৬)
এই বিষয় জানতে এই বিষয়ে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন।