আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম।
আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে একাউন্টেন্ট হিসেবে কর্মরত আছি। আমাকে উক্ত কোম্পানি থেকে প্রতি সপ্তাহে খাবার বাবদ ১০০০ টাকা দেয়া হয় এবং মাসিক বেতন বাবদ ১০০০০ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু সাপ্তাহিক যে ১০০০ টাকা খাবার বাবদ দেয়া হয় ঠিকমতো খেলে আসলে ১০০০ টাকা দিয়ে হয় না আবার নরমাল করে খেলে হয়েও যায়। আমি নরমাল খাওয়ার চেষ্টা করি যা ১০০০ থেকে কিছুটা সঞ্চয়ও হয়ে যায়। উল্লেখ্য আমি সকালে খাইনা। এখন আমি আমার কোম্পানির মালিক কে আমি বলেছি যে ১০০০ টাকা তো খাওয়া বাবদেই চলে যায় সপ্তাহে আর কিছু থাকেও না। বাড়তি খরচ করতে গেলে বাড়ি থেকে আনাতেও হয় যেমন ওষুধ, প্লাস আনুষঙ্গিক যা খরচ হয় আরকি। উল্লেখ্য বাড়ি থেকে আনিয়েওছি। তাই আমি ওনাকে এই কথা বলার পর ওনি ১৫০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছেন। এখন জানার বিষয় হলো এই যে আমি ৫০০ টাকা বাড়িয়েছি কিন্তু আমি অতিরিক্ত খরচ করবোনা। এটা সঞ্চয়েই করবো। এই বাড়ানোটাকি আমার জন্য জায়েজ হবে? জানাবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মিথ্যা কথা বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়। 
নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম। 
শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে।

পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে   
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١

তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}

হাদিস শরিফে এসেছে,
 সাফওয়ান ইবন সুলাইম বলেন,
قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা মালিক ২/৯৯০) অর্থাৎ মুমিনের বিভিন্ন চারিত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, তবু সে মিথ্যা বলতে পারে না।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি নরমাল খান,আর এতে সেই এক হাজার টাকা হতে প্রতি সপ্তাহে কিছুটা সঞ্চয়ও হয়ে যায়। 

সুতরাং আপনি যে আপনার কোম্পানির মালিক কে বলেছেন যে "১০০০ টাকা তো খাওয়া বাবদেই চলে যায় সপ্তাহে আর কিছু থাকেও না"

একথা পুরোপুরি সত্য নয়।
আপনি হয়তোবা কয়েকবার বাড়ি থেকে টাকা এনেছেন, কিন্তু প্রত্যেক সপ্তাহে নয় 

বরং ঐ এক হাজার টাকা হতে আপনার সঞ্চয় থেকে যায়।

সুতরাং এভাবে মিথ্যা হলে টাকা বাড়িয়ে আপনার জন্য জায়েজ হয়নি।
এভাবে ধোকা মূলক কথা বলে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে নেয়া শরীয়ত সমর্থন করেনা।

সুতরাং আপনি এখন আপনার কোম্পানির মালিক কে সত্য কথা বলবেন,যে সব সপ্তাহে বাড়ি থেকে আনতে হয়না, কয়েকবার আনতে হয়েছিলো।

এটি জানার পরেও যদি তিনি ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দেন,না কমান,সেক্ষেত্রে ১৫০০ টাকা নেয়া জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...