জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যেসব ক্ষেত্রে আসলেই এর বাস্তবতার প্রমান পাওয়া যাবে,সেসব ক্ষেত্রে এগুলো বলা যাবে।
(০২)
আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ
الرَّجُلُ أُمَّهُ
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুদ (পাপের দিক থেকে) ৭০ প্রকার। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট (পাপের) সুদ হল মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করা! (অর্থাৎ সুদ খাওয়ার গোনাহ মায়ের সাথে ব্যভিচার করার চেয়ে ৭০ গুণ বেশী।)
(ইবনে মাজাহ ২২৭৪ , হাকেম ২/৩৭, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৫৫২০-৫৫২২, ইবনে আবী শাইবাহ ২২০০৫, সহীহ তারগীব ১৮৫৮)
(الرِّبَا سَبْعُونَ جُزْءًا) ‘‘সুদের মধ্যে সত্তরটি গুনাহ রয়েছে’’ অর্থাৎ সুদের গুনাহের মধ্যে সত্তর প্রকারের গুনাহ আছে।
(أَيْسَرُهَا أَنْ يَّنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّه) ‘‘তন্মধ্যে নিম্নমানের গুনাহ হলো মায়ের সাথে যৌন সঙ্গম করা’’ সুদের গুনাহ যিনার চাইতেও অধিক মারাত্মক কারণ এই যে, এতে অন্যায়ভাবে বান্দার হক বিনষ্ট করা হয়। আর সুদদাতা হয় জুলুমের শিকার। আর যিনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ যিনা সংঘটিত হয় মহিলার সম্মতিক্রমে। ফলে তাতে বান্দার হক বিনষ্ট না হয়ে আল্লাহর হক বিনষ্ট হয়। আল্লাহর হক ক্ষমা করা বা না করা তা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। পক্ষান্তরে বান্দার হক ক্ষমা বান্দার ইচ্ছাধীন। আর পরকালে বান্দার হক বিনষ্ট করার কারণেই অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
"সুদের মধ্যে সত্তরটি গুনাহ রয়েছে’’ অর্থাৎ সুদের গুনাহের মধ্যে সত্তর প্রকারের গুনাহ আছে।
তন্মধ্যে নিম্নমানের গুনাহের কথা হাদীসে আছে।
বাকি গুলোর কথা হাদীসে খুজে পাইনি।
(০৩)
উক্ত নাম আপনি রাখতে পারেন।
এক্ষেত্রে এ নামের আগে "আবদ" যুক্ত করা আবশ্যক নয়।
এক্ষেত্রে কওিয়্যুন পুরাটাই লিখতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
ইবরাহিম আঃ এর পিতা ঈমান আনেননি।
মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ مَا کَانَ اسۡتِغۡفَارُ اِبۡرٰہِیۡمَ لِاَبِیۡہِ اِلَّا عَنۡ مَّوۡعِدَۃٍ وَّعَدَہَاۤ اِیَّاہُ ۚ فَلَمَّا تَبَیَّنَ لَہٗۤ اَنَّہٗ عَدُوٌّ لِّلّٰہِ تَبَرَّاَ مِنۡہُ ؕ اِنَّ اِبۡرٰہِیۡمَ لَاَوَّاہٌ حَلِیۡمٌ ﴿۱۱۴﴾
আর ইবরাহীম তার পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে; তারপর যখন এটা তার কাছে সুস্পষ্ট হল যে, সে আল্লাহর শক্র তখন ইবরাহীম তার সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। ইবরাহীম তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল।
(সুরা তওবা ১১৪)
★হযরত ইবরাহিম আঃ এর মাতা ঈমান এনেছিলেন কিনা,এই বিষয়ে কুরআনে স্পষ্ট দলিল পাইনি।
তবে বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারদের মতে হযরত ইবরাহিম আঃ এর মাতা মুমিন হয়েছিলেন।
(০৫)
এই টাকা গুলি হালাল হয়নি।
এই টাকা গুলি আপনি ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।