আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (91 points)
১.আমার খালুকে ও উনার পরিবারবে একজন বিয়ের দাওয়াত দিয়েছে। এখন উনার পরিবারের সবাই যাবেন না, উনার মেয়েদের নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, তারা যেতে পারছেন না, আমাকে বলছেন উনার সাথে বিয়েতে যেতে, যেহেতু তারা সবাই যাবেন না,
আমার কি ওনার সাথে অনুষ্ঠানে যাওয়া ও খাওয়া জায়েজ হবে??

২.আমি আগে তাদের বাসায় তাদের সাথে থাকতাম, তখন তাদের কেও দাওয়াত দিলে তাদের সাথে আমিও যেতাম এখন আমার কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

বিনা দাওয়াতে বিয়ে বা কোন অনুষ্ঠানে খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। কারণ ইসলামে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধু দাওয়াত দিলেই একজন ব্যক্তি আরেকজন ব্যক্তির অনুষ্ঠানে যেতে পারবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا دُرُسْتُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ طَارِقٍ، عَنْ طَارِقٍ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ دُعِيَ فَلَمْ يُجِبْ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَمَنْ دَخَلَ عَلَى غَيْرِ دَعْوَةٍ دَخَلَ سَارِقًا وَخَرَجَ مُغِيرًا " .
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাকে দাওয়াত দেওয়া হয়, সে যদি তা কবুল না করে, তবে সে যেন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করলো। আর যে ব্যক্তি বিনা দাওয়াতে কোন খানা খায়, সে যেন চোর হিসাবে সেখানে প্রবেশ করে এবং লুন্ঠন করে ফিরে আসে।
(আবু দাউদ ৩৬৯৯)

عن ابى مسعود البدرى رضى الله عنه قال: دعا رجل النبى صلى الله عليه وسلم لطعام صنعه له خامس خمسة، فتبعهم رجل، فلما بلغ الباب قال النبى صلى الله عليه وسلم إن هذا تبعنا فان شئت ان تأذن وإن شئت رجع، قال : بل أذن له يا رسول الله

‘হজরত আবু মাসউদ বদরী (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাওয়াত দিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে আরো চার জন ছিল। ওই যামানায় কোনো লৌকিকতা ছিল না বিধায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক সময় নিজের সঙ্গে আরো দু’একজন নিয়ে নিতেন। এখানে লোকটি দাওয়াত দিয়েছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ মোট পাঁচজনকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলেন, পথিমধ্যে আরেকজন যোগ হয়ে গেল। আজকাল যেমনিভাবে কোনো বুযুর্গকে দাওয়াত দেয়া হলে সঙ্গে আরো দু’একজন আসেন। যখন তিনি মেজবানের বাড়িতে পৌঁছলেন, মেজবানকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এ ভদ্রলোক আমাদের সঙ্গে চলে এসেছে। তুমি চাইলে তাকে মেহমান হওয়ার অনুমতি দিতে পার। অন্যথায় সে ফেরত চলে যাবে। মেজবান বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাকে ভেতরে আসার অনুমতি দিলাম।’ (বুখারী, হাদীস নং- ১৯৩৯, মুসলিম, হাদীস নং- ৩৭৯৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এক্ষেত্রে আপনার খালু যদি আপনাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয় তাদেরকে বলে,সেক্ষেত্রে তারা অনুমতি দিলে আপনি যেতে পারবেন।

নতুবা আপনার জন্য সেই দাওয়াতে যাওয়া জায়েজ হবেনা।

(০২)
আপনার খালুকে বলবেন,যাতে করে তিনি 
মেজবান থেকে  আপনার যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে অনুমতি নেন।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...