ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বনি ইসরাঈলের মধ্যে শনিবারের মাছ শিকার নিয়ে কয়েকটা গ্রুপ ছিল,একটা গ্রুপ ছিল,যারা মাছ শিকার করেছে,একটা গ্রুপ ছিল,মাছ শিকার করেনি তবে তারা বাধা দানও করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা দুয়েকবার বাধা দান করে শেষ পর্যন্ত আর বাধা দান করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা শেষ পর্যন্ত বাধা দান করেছে।প্রথমোক্ত তিন গ্রুপকেই আল্লাহ বানর এবং শুকুর বানিয়েছিলেন।আর চতুর্থ গ্রুপকে অাল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।যেহেতু তারা সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদানের উপর অটল ছিলো। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4711
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কোন মুসলিম জেনে হোক বা না জেনে হোক কুফর এবং শিরক করছেন সেই ক্ষেত্রে যদি অন্য কোন মুসলিম জানতে পারে এবং তবুও তাকে সেই কাজ করতে মানা না করে বা বাধা না দেয়, সেই ক্ষেত্রে যিনি বাধা দিলেন না, তার দাওয়া না করার তো গুনাহ হবে। তবে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)
(২) কেউ যদি কোনো মানুষের ভয়ে নামাজ আদায় করা বা অন্য কোন আমল করাকে পরিত্যাগ করে, তাহলে তার দাওয়া না করার তো গুনাহ হবে। তবে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।