আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। মাসিকের সময় অসুস্থতার জন্য সাধারণ সূরা ফাতিহা,নাস,ফালাক্ব,ইখলাস,আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারাহর শেষ ২ আয়াত পড়ে পানিতে ফু দিয়ে কি খাওয়া যাবে?
আরেকটা প্রশ্ন। আমার মাসিক গত ২-৩ মাস ধরে ১০ দিনের বেশি থাকে। ইসলামী শরীয়াহ মতে তো সন্ধ্যা থেকে পরের দিন শুরু হয়ে যায়। তাহলে কি আমি ১০ দিনের দিন সন্ধ্যায় নামাজ শুরু করবো নাকি ১১ দিনের দিন ফজর থেকে শুরু করবো। যেহেতু ব্লিডিং চলতে থাকে আমি সাধারণত ১০ দিনের দিন রাতে গোসল করে শুই। ফজর থেকে নামাজ শুরু করি। এটা কি ঠিক আছে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাব,

https://ifatwa.info/21564/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই।

হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।   (কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,

মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

ولا بأس لحائض وجنب بقراء ۃ أدعیۃ ومسہا وحملہا وذکر اللّٰہ عز وجل وتسبیح۔ (درمختار ۱؍۲۹۳ کراچی، ۱؍۴۸۸ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۱؍۴۸۱ زکریا)

হায়েজাহ মহিলার জন্য কুরআনের দোয়ার আয়াত তেলাওয়াত করা, সেটা স্পর্শ করা, উঠানো, আল্লাহর যিকির তাসবিহ জপা জায়েজ। এতে কোনো সমস্যা নেই।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6062/

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!

১. সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দোয়ার নিয়তে বা শিফার উদ্দেশ্যে উল্লেখিত সুরাসমূহ পাঠ করা যাবে। তবে ছওয়াবের জন্য  বা তেলাওয়াতের উদ্দেশ্যে কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করা হায়েজা মহিলার জন্য জায়েজ নেই। ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তে পারবে। এ সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/4435/

২. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি পূর্ণ ১০ দিন ১০ রাত হায়েজ হিসেবে ধরবেন। এক্ষেত্রে যখনই আপনার ১০ দিন ১০ রাত পূর্ণ হবে, সেই ওয়াক্তেই গোসল করে ঐ ওয়াক্তের নামাজ আদায় করবেন। আর ১১ তম দিন থেকে রোযা শুরু করবেন। অর্থাৎ প্রথম দিন বা রাতের যেই ওয়াক্তে রক্ত দেখা গেছে ১০ দিন বা রাতের সেই ওয়াক্তেই গোসল করে সালাত শুরু করতে হবে। পূর্বেই গোসল করলে তা ফরজ গোসল হিসেবে যথেষ্ট হবে না।

আরো জানুনঃ https://www.ifatwa.info/78


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। দ্বিতীয় প্রশ্নটার ব্যাপারে আরেকটু ক্লিয়ার করতে চাচ্ছিলাম। আমার বুধবার দুপুরে মাসিক শুরু হয়েছে। তাহলে ১০ দিন ১০ রাত হিসেব করে আমি এরপরের শনিবার দুপুর থেকে নামাজ শুরু করবো?
by (61,230 points)
জ্বী। শনিবারে ১০ম দিন পূর্ণ হিসেবে যোহর থেকে আপনি সালাত আদায় করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...