আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
288 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১. রাসুলুল্লাহ সাঃ কে স্বপ্নে দেখার জন্য কোন আমল আছে কি?

২. সিজদা সাহু তিন ভাবে করা যায়। আমি যদি প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে সালাম ফেরানোর আগে দুইটা সিজদা দিয়ে সালাম ফিরিয়ে ফেলি তাহলে সাহু সিজদা আদায় হবে? এটা জায়েজ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
(০১)
এই ব্যাপারে অনেকেই অনেক রকমের আমলের কথা বলেন,তবে বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারদের মত হলো,সুন্নাহ মোতাবেক আমল করতে হবে।
মনগড়া আমল করা যাবেনা।
তাই তারা বলেন যে,এক্ষেত্রে
বেশি বেশি দরূদ পাঠ এবং সুন্নতের পাবন্দি রক্ষা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কোন সুন্নতের প্রতি যেন অবহেলা করা যাবেনা। 

أن أبا هريرة قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( من رآني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي )

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নযোগে দেখল, সে যেন আমাকে বাস্তবেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। 

{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬০৫৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬০৫২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২৫ , সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২১৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯০৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২৭৬}

রাসুল (সা.)-কে স্বপ্নে দেখতে হলে তাঁর প্রতি অন্তরে অধিক ভালোবাসা থাকতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর সুন্নতের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ২/২৩৪)
,
প্রিয় নবীকে স্বপ্নে দেখার আমল সম্পর্কে বলা হয়েছে যে  …
সত্যিকারের নবী প্রেমে মাতোয়ারা হওয়া, তার সুন্নতসমূহ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে উদ্গ্রীব হওয়া। তাহলেই কেবল নবী করিম (সা.) কে স্বপ্নে দেখা সম্ভব।

কোনো কোনো আলেম বলেছেন, নবী করিম (সা.) কে স্বপ্নে দেখতে হলে, বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। অজুসহকারে পবিত্র হয়ে বিছানায় শয়ন করা। শেষ রাতে উঠে তওবা করা।
তাহাজ্জুদ পড়তে হবে।
,
(০২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আমরা  https://ifatwa.info/5535/?show=5535#q5535 ফতোয়া স্পষ্ট করেছি যে প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের। 
,
সুতরাং তাদের মতানুসারী গনই সেই মত অনুযায়ী আমল করবেন।
,
তবে হানাফী মাজহাবের কেহ যদি কোনো এক সময়ে এই মতের উপর আমল করে,সেই ভিত্তিত্র নামাজ হবেনা,বলা যায়না।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ হয়ে যাবে।
,          
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ مِنْ بَعْضِ الصَّلَوَاتِ ثُمَّ قَامَ فَلَمْ يَجْلِسْ فَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ وَنَظَرْنَا تَسْلِيمَهُ كَبَّرَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ التَّسْلِيمِ ثُمَّ سَلَّمَ

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়নাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে দু’রাকাআত সলাত আদায় করলেন। (দ্বিতীয় রাকাআতে) তিনি না বসে উঠে দাঁড়ালে লোকজন সবাই তার সাথে সাথে উঠে দাঁড়াল। তিনি সলাত শেষ করলে অর্থাৎ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাত প্রায় শেষ করলে আমরা তার সালাম ফিরানোর অপেক্ষায় ছিলাম। এ সময় তিনি তাকবীর বললেন এবং সালাম ফিরানোর পূর্বেই বসে দুটি সাজদাহ করলেন। এরপর তিনি সালাম ফিরালেন।

(মুসলিম শরীফ ১১৫৬,ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৪৯, ইসলামীক সেন্টার ১১৫৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...