بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/68689/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ حَدَّثَنَا
اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ
قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ خَيْلاً قِبَلَ نَجْدٍ فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي
حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ
سَوَارِي الْمَسْجِدِ فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ فَقَالَ أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ
فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ
الْمَسْجِدَ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا
رَسُولُ اللَّهِ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কয়েকজন অশ্বারোহী মুজাহিদকে নজদের দিকে পাঠালেন। তারা বানূ হানীফা গোত্রের
সুমামাহ ইবনু উসাল নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে তাকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলেন।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট গেলেন এবং বললেনঃ সুমামাকে ছেড়ে দাও।
(ছাড়া পেয়ে) তিনি মসজিদে নাবাবীর নিকট এক খেজুর বাগানে গিয়ে সেখানে গোসল করলেন, অতঃপর মসজিদে
প্রবেশ করে বললেনঃ ‘‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই
এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।’’ (বুখারী শরীফ ৪৬২.৪৬৯, ২৪২২, ২৪২৩, ৪৩৭২) (আধুনিক
প্রকাশনীঃ ৪৪২, ইসলামিক
ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৮)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ،
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ
الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ
عَاصِمٍ، أَنَّهُ أَسْلَمَ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَغْتَسِلَ
بِمَاءٍ وَسِدْرٍ .
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... কায়স ইবনু আসিম রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত যে,
তিনি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পানি ও বদরী
পত্র দিয়ে গোসল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। - তাখরীজুল মিশকাত ৫৪৩, সহিহ আবু দাউদ
৩৮১, তিরমিজী
হাদিস নম্বরঃ ৬০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
কাফের যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময় পাক থাকে, তবে গোসল করা
মুস্তাহাব। কিন্তু সে যদি নাপাক থাকে, তাহলে গোসল করা ফরজ।
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ভুলে যদি কখনো শিরকি কোনো
কথা বা কাজ উচ্চারিত হয়ে যায়, তাহলে ঈমানে সমস্যা হবে না। শুধুমাত্র
তাওবাহ এবং ইস্তেগফার করে নিলেই হবে। হ্যাঁ, সতর্কতামূলক কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ ও কালেমায়ে
শাহাদত পড়া যেতে পারে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান নবায়ন হয়েছে।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/44210/
https://ifatwa.info/18506/
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. জ্বী না এতে ইমানের কোন সমস্যা হবে না। তবে এজাতীয় কথা বলা থেকে দূরে থাকায়
শ্রেয়।
২-৩. কেউ যদি কখন ঈমান ভেঙ্গে যাওয়ার মত কোন কথা বা কাজ করে ফেলে তাহলে তাৎক্ষনিক
ভাবে একাকী ইস্তেগফার ও কালেমা পাঠ করাই যথেষ্ঠ। নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট গিয়ে
ঈমান নবায়ন করা জরুরী নয়।