আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
হুন্ডি ব্যবসা কি জায়েজ? আমি যতটুকু জানি এটা নাজায়েজ। এখন কথা হচ্ছে অনেক প্রবাসীরা বিদেশ থেকে বিকাশের ব্যবসা করে থাকেন দেশের বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে। এখন বিদেশের বিকাশ ব্যবসায়ীরা দেশের বিকাশ এজেন্টদেরকে হয় এডভান্স একসাথে পুরো পেমেন্টটা করে। আর নয়তো বিদেশের কাস্টমারের টাকাগুলো এক সাথে করে হয়তো ১৫ দিন পর বা ৩০ দিন পর লেনদেনের পুরো টাকা দেশের বিকাশ এজেন্টকে পাঠায়। এখন দেখা যায় প্রবাসের বিকাশ ব্যবসায়ীরা একটা কাজ করে থাকেন তারা দেশের এজেন্টদেরকে যেই লেনদেনে পুরো টাকাটা দিবে সেটা তারা সরাসরি ব্যাংক থেকে না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠায়। যার কারণে তাদের আরেকটু বাড়তি লাভ থাকে। কেননা ব্যাংক থেকে রেট কম পাওয়া যায় এবং চার্জও লাগে। আর হুন্ডিতে পাঠালে চার্জ ও লাগেনা, রেটও বেশি পাওয়া যায়। আর হুন্ডিতে টাকা পাঠানো বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এছাড়া আরো অন্যান্য বিভিন্ন দেশেও এটা নিষিদ্ধ। কেননা এভাবে টাকা পাঠালে বাংলাদেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই ডাটাবেজ থাকে না। হুন্ডির মূল প্রক্রিয়াটা হল বিদেশের কোন একজন সাধারণ লোক অথবা বিকাশ ব্যাবসায়ী দেশে টাকার টাকা পাঠাবে ১০ হাজার রিয়াল। তো সে ১০ হাজার রিয়াল কোন এক হুন্ডি ব্যাবসায়ীর কাছে দিল, সেই হুন্ডি ব্যবসায়ী তার কাছে সেই ১০ হাজার রিয়াল রেখে দিলো। এবং দেশে তার এজেন্টের মাধ্যমে ১০ হাজার রিয়ালে যত টাকা আসে ঠিক তত টাকা জায়গা মতো পৌঁছে দিলো। হয়তোবা তার এজেন্ট এর মাধ্যেমে কেশ পৌচালো অথবা দেশের কারো ব্যাংক একাউন্ট থেকে সেই নির্ধারিত গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টে পাঠালো। আর এভাবে লেনদেনের কারণে সরকারের কাছে ১০ হাজার রিয়ালের কোন ডাটা থাকলো না। বিদেশের ১০ হাজর রিয়াল বিদেশেই থেকে গেলো। যারা দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার করে তারাই হুন্ডি ব্যবসায় বেশি করে থাকে। কেননা দেশ থেকে বিদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে অনেক রুলস রেগুলেশন মেনটেইন করতে হয়। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে কোন রুলস রেগুলেশন লাগেনা কেননা সরকার এটা জানতেই পারেন না। সে দেশে থেকে ঠিকানা মত টাকা পৌঁছে দেয় অথবা তার ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করে দেই। আর বিদেশের ডলারটা বিদেশেই থেকে যায় তার এজেন্টের কাছে। এভাবে খুব সহজে সে বিদেশে টাকা পাচার করতে পারে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে হুন্ডি ব্যাবসা তো অবশ্যই নাজায়েজ। তো যারা বিদেশের বিকাশ ব্যবসায়ীরা লেনদেনের পুরো টাকাটা এডভান্স অথবা বাকিতে হোক, হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠায় বিকাশ এজেন্টের কাছে। তো এভাবে টাকা পাঠানো তো নাজায়েজ হবে। এখন দেশের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী কি বিদেশের বিকাশ ব্যাবসায়ীর সাথে লেনদেন চলমান রাখতে পারবে যদি সে এভাবেই হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায় তার কাছে?? আর দেশের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী তো হারাম করছে না। যিনি বিদেশ থেকে পাঠাচ্ছেন তিনি ই এভাবে পাঠাচ্ছেন।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে প্রবাসের সব বিকাশ ব্যবসায়ী আবার হুন্ডিতে টাকা পাঠায় না। অনেকেই ব্যাংকের মাধ্যেমে পাঠায়। তো যারা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠায় তাদের সাথে তো লেনদেন করতে কোন সমস্যা নাই। তাদের সাথে লেনদেন করা তো জায়েজ হবে তাই না??

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাধারণত মুদ্রার লেনদেন দুইভাবে হতে পারে।যথা- 
(ক)ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন।
(খ)একই দেশের কারেন্সির লেনদেন।
প্রথম প্রকারের লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।
তথা ভিন্ন দুই দেশের মুদ্রার লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।

(ক)
ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন
এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/198


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুই দেশের নোটের বিনিময় 'আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল' কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যর ভিত্তিতেই হওয়া চাই।যেমন 1$ সমান ৯৬টাকা।তাছাড়াও যদি কমবেশের উপর উভয় সম্মত হন, তাহলে সেটাও জায়েয।তবে শর্ত হল উভয়ের যে কেউ একজন মজলিসে মুদ্রা কবজা/হস্তগ্রত করবেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14067
ব্লাক মার্কেট বা হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করা যদিও জায়েয তবে এক্ষেত্রে সরকারী বিধিনিষেধ কে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। অথচ বৈধ বিষয়ে সরকারী বিধিবিধানের অনুসরণ অত্যাবশ্যকীয়।
সে কারণে ব্লাকমার্কেট পরিত্যাগই শ্রেয়। তবে হারাম বা নাজায়েয হবে না।কেউ হুন্ডির মাধ্যমে করে নিলে সেটা বৈধ হবে।যদি না তাতে ধোকা এবং প্রতারণা না থাকে।(জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রবাস থেকে যেসব বিকাশ ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের মাধ্যেমে টাকায় পাঠায় তাদের সাথে তো লেনদেন করতে কোন সমস্যা নাই। তাদের সাথে লেনদেন করা যাবে। তবে যারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকায়,তাদের সাথে লেনদেন করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...