জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তায়ালা মানুষের জ্ঞান পরিধি যতটা বিস্তৃত করেছেন, ফেরেশতাদের জ্ঞানের পরিধি তত বড় নয়। আল্লাহ তাঁদের ততটুকুই জ্ঞান দান করেছেন, দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের যতটা প্রয়োজন।
মানুষের জ্ঞানগত শ্রেষ্ঠত্ব ও ফেরেশতাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ عَلَّمَ اٰدَمَ الۡاَسۡمَآءَ کُلَّہَا ثُمَّ عَرَضَہُمۡ عَلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ ۙ فَقَالَ اَنۡۢبِـُٔوۡنِیۡ بِاَسۡمَآءِ ہٰۤؤُلَآءِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۱﴾
আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন, তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করে বললেন, ‘এগুলোর নাম আমাকে বলে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
(সুরা বাকারা ৩১)
قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۳۲﴾
তারা বলল, আপনি পবিত্র মহান! আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের তো কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনিই সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’।
(সুরা বাকারা ৩২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রত্যেক ফেরেশতা নির্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত।
তারা নিজ নিজ কাজে রয়েছেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত তথ্যটি কুরআন হাদীসে পাইনি।
কুরআন কারীমে আছেঃ-
وَ مَا مِنَّاۤ اِلَّا لَہٗ مَقَامٌ مَّعۡلُوۡمٌ ﴿۱۶۴﴾ۙ
আর (জিবরীল বললেন) আমাদের প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত স্থান রয়েছে।
(সুরা সফফাত ১৬৪)
وَّ اِنَّا لَنَحۡنُ الصَّآفُّوۡنَ ﴿۱۶۵﴾ۚ
আর আমরা তো সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান।
(সুরা সফফাত ১৬৫)
وَ اِنَّا لَنَحۡنُ الۡمُسَبِّحُوۡنَ ﴿۱۶۶﴾
এবং আমরা অবশ্যই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী।
(সুরা সফফাত ১৬৬)
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আসমানসমূহের মধ্যে এমন এক আসমান রয়েছে যার প্রতি বিঘাত জায়গায় কোন ফেরেশতার কপাল অথবা তার দু’পা দাঁড়ানো অথবা সিজদা-রত অবস্থায় আছে। তারপর আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন। [তাফসীর আবদুর রায্যাক: ২৫৬৫]