আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
406 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
edited by
প্রত্যেকটির জন্য একবার বিস্মিল্লাহ না পৃথক পৃথক বিসমিল্লাহ
পশু যদি অনেক গুলো হয় তাহলে শুরুতে একবার বল্লেই হবে নাকি প্রতিটার জন্য একবার করে বলতে হবে?

প্রত্যেকটির জন্য একবার ববিস্মিল্লাহ না পৃথক পৃথক বিসমিল্লাহ
পশু যদি অনেক গুলো হয় তাহলে শুরুতে একবার বল্লেই হবে নাকি প্রতিটার জন্য একবার করে বলতে হবে?
প্রত্যেকটির জন্য একবার বিস্মিল্লাহ না পৃথক পৃথক বিসমিল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
উত্তরঃ-
শরীয়ত সম্মত জবাইয়ের পদ্ধতি হল,প্রতিটা প্রানী জবাইয়ের পূর্বে আলাদা আলাদা ভাবে বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব।
এ প্রসঙ্গে কুরআনের কারীমের ঘোষনা হলঃ
ولا تأكلوا مما لم يذكر اسم اللّٰه عليه ،
তোমরা খওনা (ওইসব পশু)যাতে (জবাইকালে)আল্লাহর নাম নেয়া হয় নাই।এর দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেল যে,প্রত্যেক প্রানী জবাইকালে 'বিসমিল্লাহ 'এবং বিসমিল্লাহ পড়ার সঙ্গে জবাই করা জরুরী। এরই ওপর ভিত্তি করে ফুকাহায়ে কেরাম নিম্নোক্ত মাসাইল উদঘাটন করেছেন,যা আমাদের আলোচিত মাসআলার সাথে সম্পৃক্ত।এই আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলা বুঝে নিলে আমাদের মূল মাসআলা বুঝতে সুবিধা হবে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছেঃ
وَأَمَّا الَّذِي يَرْجِعُ إلَى مَحَلِّ الذَّكَاةِ: (فَمِنْهَا) تَعْيِينُ الْمَحَلِّ بِالتَّسْمِيَةِ فِي الذَّكَاةِ الِاخْتِيَارِيَّةِ، وَعَلَى هَذَا يَخْرُجُ مَا إذَا ذَبَحَ وَسَمَّى، ثُمَّ ذَبَحَ أُخْرَى يَظُنُّ أَنَّ التَّسْمِيَةَ الْأُولَى تُجْزِئُ عَنْهُمَا لَمْ تُؤْكَلْ فَلَا بُدَّ أَنْ يُجَدِّدَ لِكُلِّ ذَبِيحَةٍ تَسْمِيَةً عَلَى حِدَةٍ. 
তরজমা-সুতরাং ওই শর্তাবলী যা জবাইর স্থলের সাথে সম্পৃক্ত,তার মধ্যে থেকে একটি শর্ত হল,ইচ্ছাকৃতভাবে জবাইকালে বিসমিল্লাহর সঙ্গে সঙ্গে বিসমিল্লাহরর স্থানটিও নির্দিষ্ট করে নেয়া।সুতরাং এই শর্তের কারণে নিম্নোক্ত পদ্ধতিটি বৈধতার সীমারেখা থেকে বাদ পড়ে যাবে যে,এক ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলে একটি পশু জবাই করল,অতঃপর একটি পশু এই ধারনায় (বিসমিল্লাহ না বলে)জবাই করে নিল যে,প্রথমটির বিসমিল্লাহ'ই দ্বিতীয়টির জন্য যতেষ্ট,এই অবস্থাতে তার দ্বিতীয় পশুটি খাওয়া যাবে না।
সতরাং প্রত্যেক প্রানী জবাইকালে পৃথক পৃথকভাবে নতুন 'বিসমিল্লাহ'পড়া জরুরী।-৫/২৮৬
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আরও বর্ণিত আছে যে.........
وَلَوْ أَضْجَعَ شَاةً وَأَخَذَ السِّكِّينَ وَسَمَّى، ثُمَّ تَرَكَهَا وَذَبَحَ شَاةً أُخْرَى وَتَرَكَ التَّسْمِيَةَ عَامِدًا عَلَيْهَا، لَا تَحِلُّ، كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
তরজমা- যদি কোনো ব্যক্তি বকরী জবাইয়ের উদ্দেশ্যে বকরী শুইয়ে দেয় এবং হাতে ছুরি নিয়ে বিসমিল্লাহ পড়ে ছেড়ে দেয়।(অর্থ্যাৎ জবাই না করেই ছেড়ে দেয়)অতঃপর অন্য একটি বকরী ধরে জবাই করে নেয়,এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ পড়া ছেড়ে দেয় তাহলে এই বকরীটি হালাল হবে না।-৫/২৮৮
وَإِذَا أَضْجَعَ شَاةً لِيَذْبَحَهَا وَسَمَّى عَلَيْهَا، ثُمَّ كَلَّمَ إنْسَانًا أَوْ شَرِبَ مَاءً أَوْ حَدَّدَ سِكِّينًا أَوْ أَكَلَ لُقْمَةً أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ عَمَلٍ لَمْ يَكْثُرْ حَلَّتْ بِتِلْكَ التَّسْمِيَةِ، وَإِنْ طَالَ الْحَدِيثُ وَكَثُرَ الْعَمَلُ كُرِهَ أَكْلُهَا وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ تَقْدِيرٌ بَلْ يُنْظَرُ فِيهِ إلَى الْعَادَةِ-
তরজমা- যদি কেও জবাইয়ের উদ্দেশ্যে শুইয়ে দেয় এবং বিসমিল্লাহও পড়ে নেয়,এরপর কারো সঙ্গে কথা বলল,পানি পান করল,ছুরি শান দিল,কিংবা কিছু খাবার খেয়ে নিল,কিংবা এ জাতীয় সাধারণ অন্য কোনো কাজ করে নিল।(এরপর ওই বকরীকে জবাই করল)তাহলে এহেন অবস্থায় পূর্বেকার পঠিত বিসমিল্লাহ-এর দ্বারাই এই বকরীটি হালাল হিসেবে গন্য হবে।আর যদি বিসমিল্লাহ পড়ার পর দীর্ঘ কথাবার্তা হয়ে যায়,কিংবা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ চলে,এরপর বকরী জবাই করা হয় তাহলে ওই বকরীর গোশত খাওয়া মাকরুহ। আর সময় (كثير)'বেশী'এবং(قليل)'কম'হওয়ার সীমা নির্দিষ্ট নেই।বরং এক্ষেত্রে প্রচলনই প্রাধান্য পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...