আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু।
চোখ,কান, নাক মুখ না এঁকে শুধু মানুষের কার্টুন আঁকা কি জায়েজ? যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখছি তাদের তো এগুলো বানাতে হয়। বা এরকম কার্টুন নিজের কোনো প্রয়োজনে ছবিতে ব্যবহার করতে পারবো? আর এই দুই কাজের কোনো একটি করলে কি আল্লহর সাথে শিরক করা হবে?

জাঝাকুমুল্লহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (57,570 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/30362/  নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- প্রানীর এমন ছবি যেখানে মাথা, চেহারা থাকে, সেটি নিষেধ। প্রানীর ছবিতে যদি এমন কাজ করা হয়, যাতে সেটি প্রান বিশিষ্ট প্রানীর ছবি মতো মনে না হয়, তাহলে সেটির উপর ছবির বিধান আরোপ হবেনা। কিন্তু যদি জান বিশিষ্ট প্রানীর বর্ণনা বুঝা যায়, তাহলে তাহলে সেটি হারাম ছবির অন্তর্ভুক্ত হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী। সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই। (বুখারী ২২২৫, মুসলিম-৫৬৬২, আহমাদ-২৮১০, সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব-৩০৫৪)

মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে।

যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."

প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ। যখন কোনো ছবির কৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না। (সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)

خلاصۃ الفتاوی  :

"وإن کانت مقطوع الرأس لا بأس به، وکذا لو محی وجه الصورة فهو کقطع الرأس".  (1/58، کتاب الصلوٰۃ، ط: رشیدیہ)

সারমর্মঃ  যদি ছবি থেকে মাথা কেটে ফেলা হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। একই ভাবে যদি চেহারা মুছে ফেলা হয়,তাহলেও কোনো সমস্যা নেই।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মুখ মণ্ডল তথা চোখ, মুখ, নাক, কান, ঠোঁট ইত্যাদি মুখাবয়বের চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকলে তাহা ব্যবহার করা যাবে। সতর্কতামূলক পূর্ণ মাথা কেটে দেয়াই ভালো হবে।

 তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন এটির ব্যবহারও নিষেধ করেছেন। বিধায় এধরনের ছবিও ব্যবহার না করাই উচিত। কিন্তু প্রয়োজনে যদি একান্ত ব্যবহার করতেই হয় তাহলে উপরে উল্লেখিত শর্ত মেনে কার্টুন আঁকা জায়েয আছে। কোন প্রাণীর ছবি আঁকলে বা তৈরি করলে এবং সংরক্ষন করলে কবিরা গুনাহ হয়। আল্লাহ তায়ালা মাফ না করলে এর দরুন তাকে জাহান্নামে যেতে হবে। তবে এক্ষেত্রে শিরক কিংবা কুফর হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...