আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব।
মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর আপনার কাছে অনুরোধ উত্তর দেবার জন্য৷
১/ স্ত্রী মানসিক কিছু কষ্টে রাগ হলেই শুধু বলে ডিভোর্স দেন/ ছেড়ে দেন / মুক্তি দেন৷
এসব এর জবাবে স্বামী তালাক দিবে না কোনভাবেই দিবে না তাই তালাক শব্দ মুখেও আনে না৷ এগুলা অনেকবার বলার পরও৷ অনেক বিরক্ত করার পর তালাকের আবদার ফিরিয়ে দিতে যদি বিভিন্ন সময়ে এভাবে বলে যে
" আপনার মন চাইলে আপনি দেনগা",
"আপনি দেন আমি দিব না,"
" আপনি বলেন, আপনি বললে হবে "
" এত শখ হলে নিজে দেন"
"আপনি দেনগা যান"
এগুলাতে কি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে৷!?
(স্বামী তালাকের অধিকার দেয় নাই দিতেও চায় নাই, আর জানেও না এভাবে অধিকার দেওয়া যায়৷ ) তার উদ্দেশ্য ছিল স্ত্রীর তালাকের আবদার ফিরিয়ে দেয়া তাই রাগ করে বলেছে৷
২/ এসব কথায় তালাকের অধিকার পেলে সেটা কি সেই মজলিসের বাইরেও পাবে? নাকি মজলিস পর্যন্ত?
৩/ এসব কথার মজলিসে যদি স্ত্রী এভাবে বলে " আপনার সাথে আমি থাকব না, সম্পর্ক নাই কোন, আমি তো ছাইড়াই দিছি, কোন স্পষ্ট বাক্য না কিন্তু এমন আরো অনেক কেনায় বাক্য বললে কি তালাক পতিত হবে যদি নিয়ত সম্পর্ক না রাখার থাকে? এসব বলার সময় নিয়ত তালাকের নেবার বা নিজের উপর তালাক পতিত করার ছিল না, কিন্তু অনেক সময় সম্পর্ক আর রাখব না এমন নিয়ত ছিল। কোন মজলিসে এমন সাথে সাথে বলেছি কিনা মনে নাই। সেক্ষেত্রে মনে না করতে পারলে কি হুকুম?
৪/ অন্য এক তর্কের সময় (তালাকের কথা হচ্ছিল না) যদি স্ত্রী রাগ করে এভাবে বলে " আমি আপনাকে আমার সমস্ত দায় থেকে আজাদ করলাম " (তালাকের নিয়ত নাই৷ মুক্তির বদলে আজাদ শব্দ ইচ্ছা করে ব্যবহার করছে তালাক যেন না বুঝায় তাই)
আরো বলে আপনাকে আমার কোন দরকার নাই. এতে কি তালাকে হতে পারে,।
বিদ্র: স্ত্রীও জানত না এসব কথায় অধিকার পাওয়া যায়।কাবিনামায় অধিকার দেওয়া আছে কিনা তাও দুজনের কেউ জানে না৷ বিয়ের অনেক পরে এমন অধিকার দিয়ে দেয় জানতে পেরে সন্দেহ দূর করতে দুজনেই অধিকার ফিরিয়ে দেয় এবং ফিরিয়ে নেয়৷ এবং স্বামী কসম করে বলে তাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই৷ কিন্তু ঝগরার সময় এসব কথায় দেওয়া হওয়া যায় তা জানত না। এখন বিভিন্ন মাসালা পরে জেনেছে৷
হুজুর দয়া করে আমার সব প্রশ্ন গুলোর জবাব দিয়ে বুঝায় দিয়েন৷