ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।
যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কেউ যদি ফজর মিস করে, পরে শয়তানের ধোকা বা কোন কারনে ব্যস্ত হয়ে পরায় যোহরের আগে কাযা আদায় করে নেয়।তবে তার সালাত হবে।
(২) জামাতে নামাজের সময় মুক্তাদি যদি নিজে কোন অতিরিক্ত কিছু পড়ে নেয় তাহলে মাকরুহ হবে। এবং কোন কিছু ভুল পড়তে গিয়ে যদি অর্থের মধ্যে পরিবর্তন চলে আসে, তাহলে মুক্তাদির নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।নামাযকে আবার পড়তে হবে।