ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ট্রান্সজেন্ডার তথা সার্জারি করে লিঙ্গ পরিবর্তন করা হারাম ও নাজায়েয। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻷُﺿِﻠَّﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻷُﻣَﻨِّﻴَﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﺒَﺘِّﻜُﻦَّ ﺁﺫَﺍﻥَ ﺍﻷَﻧْﻌَﺎﻡِ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﻐَﻴِّﺮُﻥَّ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَّﺨِﺬِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻓَﻘَﺪْ ﺧَﺴِﺮَ ﺧُﺴْﺮَﺍﻧًﺎ ﻣُّﺒِﻴﻨًﺎ
তাদপশুদেরেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব।
(আল্লাহ তা'আলা বললেন)যে কেউ আল্লাহ-কে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে,সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হবে।(সূরা নিসাঃ১৭-১৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/466
ট্রান্সজেন্ডার করার পর ঐ ব্যক্তি যদি সম্পূর্ণ নারীদের মত বা সম্পূর্ণ পুরুষের মত হয়ে যায়, এবং সে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে নেয়, তাহলে ঐ ব্যক্তি তার বিপরীত লিঙ্গ কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। তবে তাওবাহ না করলে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অন্য কারো জন্য জায়েয হবে না।
ট্রান্সজেন্ডারের পর যদি তাকে নারী পুরুষ কোনো লিঙ্গের দ্বারা পৃথক করা না যায়, তাহলে সে খনছা মুশকিলের সমপর্যায়ে চলে যাবে,
٨ - يرى الحنفية والشافعية أن عورة الخنثى كعورة المرأة حتى شعرها النازل عن الرأس خلا الوجه والكفين، ولا يكشف الخنثى للاستنجاءولا للغسل عند أحد أصلا، لأنها إن كشفت عند رجل احتمل أنها أنثى، وإن كشفت عند أنثى، احتمل أنه ذكر. وأما ظهر الكف فقد صرح الحنفية أنها عورة على المذهب، والقدمان على المعتمد، وصوتها على الراجح، وذراعاها على المرجوح
হানাফী এবং শা'ফী উলামায়ে কেরামদের মতে,খুনছা মুশকিলের সতর মহিলার সতরের মত।এমনকি মাথার চুলও।তবে চেহারা এবং কব্জি পর্যন্ত হাত ব্যতীত।খুনছা ব্যক্তি ইস্তেন্জা বা গোসলের জন্য পুরুষ-মহিলা কারো সামনে সতর খোলতে পারবে না।কেননা সে যদি কোনো নারীর সামনে খোলে তাহলে পুরুষ সম্ভাবনায় বৈধ হবে না।আর যদি সে কেনো পুরুষের সামনে খোলে তাহলে তার নারী সম্ভাবনা থাকার ধরুন ও বৈধ হবে না।
কব্জির উপরিভাগ হানাফীদের মতে সতরের অন্তর্ভুক্ত।এবং পা দুটি নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী সতর।গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী আওয়াজ ও সতর।
আর অগ্রহনযোগ্য মতানুযায়ী কনুই পর্যন্ত হাতও সতর।
(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ -২০/২১)
বিঃদ্রঃ
কোনো মানুষ যদি এমন হয় যে, তার মধ্যে সামান্য বিপরীত লিঙ্গের প্রভাব বা দোষ থাকে, তাহলে সার্জারির মাধ্যে সেই দোষ দূর করা যাবে।তবে এক লিঙ্গ থেকে বিপরীত লিঙ্গে স্থানান্তর সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
(২)
ট্রান্সসেক্সুয়াল(যারা সার্জারী করে লিঙ্গ পরিবর্তন করে) এই মানুষগুলোর মৃত্যুর পর দাফন কাফন করতে হবে। যদিও এই কবিরাহ গোনাহের পর তাওবাহ সম্পর্কে জানা না যাউক।
তৃতীয় লিঙ্গের (যারা ত্রুটি নিয়ে জন্মায়) মানুষদের ক্ষেত্রে দাফন কাফনের সময় বাহ্যিক অবয়ব দেখে নারী/পুরুষ ধরা হয়। ঠিকতেমনি যারা ট্রান্সসেক্সুয়েল, তাদেরও মৃত্যুর পর দাফন কাফনের সময় বাহ্যিক অবয়ব দেখে নারী/পুরুষ বিবেচনা করা হবে।