নবজাতক জন্মের সপ্তম দিনে আকীকা দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে এসেছে।
সামুরা বিন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
«كُلُّ غُلاَمٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ سَابِعِهِ وَيُحْلَقُ وَيُسَمَّى»
‘প্রত্যেক শিশুই তার আকীকা জরুরী। জন্মের সপ্তম দিনে তার জন্য জবাই করা হবে এবং তার মাথা নেড়ে করা হবে আর নাম রাখা হবে। [আবূ দাউদ : ২৮৪০; মুসনাদ আহমদ : ২০০৯৫।]
আমর বিন শুয়াইব তার বাবা আর বাবা তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন যে,
«أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- أَمَرَ بِتَسْمِيَةِ الْمَوْلُودِ يَوْمَ سَابِعِهِ وَوَضْعِ الأَذَى عَنْهُ وَالْعَقِّ».
‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মের সপ্তম দিবসে নবজাতকের নাম রাখা, তার আবর্জনা দূর করা (তথা নেড়ে করা) ও আকীকার নির্দেশ দিয়েছেন।’ [তিরমিযী : ২৮৩২।]
বিস্তারিত জানুনঃ-
জন্মের সপ্তম দিনে আকীকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ বা ২১ তম দিনে করা ভালো। কেননা হাদীস শরীফে এই তিন দিনের উল্লেখ আছে। এ তিন দিনেও করা না হলে পরে যে কোনো দিন আকীকা করা যেতে পারে।
হযরত বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আকীকার পশু সপ্তম বা চৌদ্দতম বা একুশতম দিনে যবাই করা হবে। (আলমুজামুল আওসাত ৫/৪৫৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
عَفِيفَة ج عَفِيفَات، عَفَائِف [عفف]
['আফীফাহ] শব্দের অর্থঃ-
পবিত্র
নিষ্পাপ
সচ্চরিত্রা
সংযমশীলা (স্ত্রী)
মেহেরিন নামের অর্থ হলো সমবেদনাশীল।
زَيْنَب
[যাইনাব] শব্দের অর্থঃ-
সুদর্শন ও সুগন্ধ একপ্রকার গাছ
ভীরু।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মেয়ের নাম।
★আপনার মেয়ের জন্য "আফিফা মেহেরিন যায়নাব" এই নামটা রাখা যাবে। সমস্যা নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
৭ম দিন যেহেতু সন্তানের আকীকা করা মুস্তাহাব। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ৭ম দিন সন্তানের আকীকা করবেন।
আর্থিক বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে ৭ম দিনে আকীকা না করে চৌদ্দতম বা একুশতম দিনে আকীকা করতে পারবেন।