ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীসের অংশ
( فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ )
'এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,এবং এই দিনে আমার উপর অহী নাযিল করা হয়েছে।বিধায় আমি এ দিন রোযা রাখি।'
এ হাদীস দ্বারা জন্ম তারিখে রোযা রাখার উপর প্রমাণ পেশ কর যাবেনা।কেননা এ হাদীস রোযা রাখার উপর প্রমাণ করে না, বরং এখানে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্মের কারণে সোমবার দিনের ফযিলতকে বর্ণনা করা হচ্ছে।যদি বাস্তবেই জন্মতারিখে রোযা রাখার কোনো নিয়ম থাকতো, তাহলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ সেটাকে পরিস্কার করে বর্ণনা করে দিতেন।এবং সাহাবায়ে কেরাম সেটাকে আ'মলে নিয়ে আসতেন।কেননা সাহেবায়ে কেরামগনের চেয়ে নেকির প্রতি বেশী অগ্রসরমান আর কেউ হতে পারে না।তারা অবশ্যই আ'মলে নিয়ে আসতেন।
কিন্তু যেহেতু হাদীসে বর্ণিত কয়েকটি হেকমতের একটি হেকমত হলো জন্মতারিখ, তাই কেউ যদি সে তারিখে এই হেকমতের সাথে অন্য কোনো হেকমতকে মিলিয়ে রোযা রেখে নেয়,তাহলে সেটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।যেমন,আইয়্যামের বীযের রোযার নিয়তকে সামনে রেখে রোযা রাখা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1619
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)সন্তানের জন্মদিন পালন না করে এই দিন সন্তান আমার ঘরে এসেছে সেই শুকরিয়া স্বরুপ সদাকা করা যাবে। তবে ঐ দিনকে সাদাকাহ করার জন্য নির্দিষ্ট করা যাবে না, তবে ঐ দিনে সদকাহ করাকে এবং রোযা রাখাকে জরুরী করা যাবে না।
(২)ওইদিন সন্তানের জন্য ২ রাকাত সলাহ পড়া যাবে তার জন্য শুকরিয়া বা সাহায্য চেয়ে। তবে ঐ দিনই যে নামায পরতে হবে, অন্য দিন পড়া যাবে না। এমন কোনো বিষয় শরীয়তে নাই।
(৩)অনেকেই ফেসবুকে লিখে মাতৃত্বের ১বছর পুর্ন হল/ ২/ ৪ বছর পুর্ন হল। এটা সম্পূর্ণ অনুচিৎ ও বেহুদা কাজ। এদ্বারা মূলত বিদ'আতের ই প্রচার প্রসার হবে।