আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in পবিত্রতা (Purity) by (40 points)

আসসালামু আলাইকুম,

ইস্তিহাযা বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।

১. ইস্তিহাযার নিয়মানুসারে প্রত্যেক ওয়াক্ত ওযু করা ওয়াজিব। তো এক্ষেত্রে আমি যদি ওয়াক্ত আসার কিছুক্ষণ পূর্বে ওযু করে প্রস্তুত থাকি স্বলাতের জন্য, তাহলে আমার ওযু শুদ্ধ হবে? যেমন- আমি যোহরের স্বলাত শেষ করলাম অনেক আগে। তারপর আসরের ওয়াক্ত আসার ১০/১৫মি: পূর্বে ওযু করে রেডি থাকলাম।

২. কিয়ামুল লাইল পড়ার জন্য যে ওযু করবো, সেই ওযু দিয়ে ফযরের স্বলাত পড়তে পারবো? নাকি আমাকে নতুন করে পবিত্র হয়ে ওযু করে ফযরের স্বলাত পড়তে হবে?

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান। 
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_231118_052442_820.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَذَكَرَ خَبَرَهَا وَقَالَ " ثُمَّ اغْتَسِلِي ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلَاةٍ وَصَلِّي "

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাযিয়াল্লাহু ‘আনহা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তার ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তারপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক সলাতের জন্য অযু করে সলাত আদায় করবে।
(আবু দাউদ ২৯৮.ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে, হাঃ ৬২৪), আহমাদ (৬/৪২, ২৬২)

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، اسْتُحِيضَتْ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم أَنْ تَنْتَظِرَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي فَإِنْ رَأَتْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ تَوَضَّأَتْ وَصَلَّتْ

‘ইকরিমাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহশের ইস্তিহাযা হলো। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হায়িযের দিনসমূহে (সলাত ইত্যাদির জন্য) অপেক্ষা করার পর গোসল করে সলাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর অযু করে এক ওয়াক্ত সলাত আদায়ের পর রক্ত দেখা গেলে পরের ওয়াক্তের জন্য পুনরায় অযু করে সলাত আদায় করতে বললেন।
(আবু দাউদ ৩০৫)

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ أَنَّ الْقَعْقَاعَ، وَزَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، أَرْسَلَاهُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ يَسْأَلُهُ كَيْفَ تَغْتَسِلُ الْمُسْتَحَاضَةُ فَقَالَ تَغْتَسِلُ مِنْ ظُهْرٍ إِلَى ظُهْرٍ، وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ، فَإِنْ غَلَبَهَا الدَّمُ اسْتَثْفَرَتْ بِثَوْبٍ

আবূ বাকর (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম সুমাই সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কা‘কা‘আ এবং যায়িদ ইবনু আসলাম (রহঃ) সুমাইকে সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের নিকট পাঠালেন। যাতে সুমাই তাকে জিজ্ঞেস করেন, মুস্তাহাযা কিভাবে গোসল করবে? সাঈদ (রাঃ) বললেন, মুস্তাহাযা গোসল করবে যুহর থেকে যুহর পর্যন্ত (অর্থাৎ প্রত্যেক যুহর সলাতের পূর্বে গোসল করবে)। আর ওযু করবে প্রত্যেক সলাতের জন্য। যদি অত্যধিক রক্তস্রাব হয় তাহলে যেন কাপড়ের পট্টি পরিধান করে।
(আবু দাউদ ৩০১)


وحکمہ الوضوء لکل فرض ثم یصلي بہ فرضاً ونفلاً فإذا خرج الوقت بطل۔ (شامي مع الدر الصلاۃ؍ باب صلاۃ المریض۱؍۵۰۵)
সারমর্মঃ
তার হুকুম প্রত্যেক ফরজের জন্য অযু করবে,তারপর সে ঐ অযু দ্বারা ফরজ নফল আদায় করবে।
ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে তার অযু বাতিল হয়ে যাবে।  

ویبطل الوضوء عند خروج وقت المفروضۃ بالحدث السابق۔ (ہندیۃ الطہارۃ؍ الباب الرابع في أحکام الحیض و النفاس والاستحاضۃ۱؍۴۱)
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে তার অযু বাতিল হয়ে যাবে।  

আরো জানুনঃ 

মা'যুর বলা হবে,যার কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারনে নামায পড়া কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আসরের ওয়াক্ত আসার ১০/১৫মি: পূর্বে ওযু করে রেডি থাকলে সেই অযু দিয়ে আপনি আসরের সালাত আদায় করতে পারবেননা।
আসরের ওয়াক্ত আসার পর পুনরায় নতুন করে অযু করতে হবে।

(০২)
কিয়ামুল লাইল পড়ার জন্য যে অযু করবেন,, সেই অযু দিয়ে ফযরের স্বলাত পড়তে পারবেননা। ফজরের ওয়াক্ত আসার পর আপনাকে নতুন করে পবিত্র হয়ে ওযু করে ফজরের স্বলাত পড়তে হবে।


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত দুটি বিধান ঐ সময় হবে,যখন আপনি মা'যুর হবেন।

উপরোক্ত বিবরণ অনুপাতে আপনি যদি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে উক্ত বিধান আপনার জন্য নয়।
এক্ষেত্রে পূর্ণ পবিত্র হয়ে,পূর্ণ পবিত্র কাপড়ে সালাত আদায় করতে হবে। সালাতের মধ্যে স্রাব নির্গত হলে পূনরায় কাপড় পাক করে/কাপড় চেঞ্জ করে অযু করে এসে বাকি সালাত আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...