জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রথমেই আমরা পবিত্র কুরআনুল কারীমের কিছু আয়াত দেখে নেই।
সুরা হুজুরাতের ১১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡہُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡہُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۱۱﴾
হে ঈমানদারগণ, কোন সম্প্রদায় যেন অপর কোন সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোন নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতইনা নিকৃষ্ট! আর যারা তাওবা করে না, তারাই তো যালিম।
,
সুরা হুজুরাতের ১২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡہِ مَیۡتًا فَکَرِہۡتُمُوۡہُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ কোন কোন অনুমান পাপ এবং তোমরা একে অন্যের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অন্যের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবেই, বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণ্যই মনে কর। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় আল্লাহ্ তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহঃ ছিলেন একজন একনিষ্ঠ সুন্নি শাসক। পালন করতেন শাফেয়ী মাযহাব। তিনি উম্মাহর ঐক্যের প্রয়াসী ছিলেন।
,
সালাহুদ্দীন আইয়ুবি রহঃ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি আশায়েরী আকিদা পোষণ করতেন,তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
,
তিনি শীয়াদের ভ্রান্তি বিষয়ে মোটেই নমনীয় ছিলেন না; তবে প্রায়োগিকভাবে যথেষ্ট সতর্কতার সাথে নেতৃত্ব ও কৌশল প্রণয়ন করেছেন।
,
এই বিষয়ে শায়েখ আবদুল্লাহিল বাকি সাহেব হাফিজাহুল্লাহ বিস্তারিত লিখছেনঃ
ফাতেমী সাম্রাজ্যের সাথে সালাহুদ্দীন আইয়ুবির সম্পর্কের সূচনাটা হয়েছিল ক্রুসেড শত্রুর মোকাবেলার প্রশ্নে। মিশরে অবস্থিত ফাতেমী শিয়া খলিফা সিরিয়ার সুন্নি শাসক নুরুদ্দিন জানকির কাছে শত্রুর মোকাবেলায় সাহায্য প্রার্থনা করেন। তখন সালাহুদ্দীন আইয়ুবিকে মিশরে পাঠানো হয়। তিনি মিশরে গিয়ে ফাতেমী সাম্রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন এবং এই সাম্রাজ্যের পতাকা তলেই লড়াই করেছেন ক্রুসেডারদের সাথে। সেখানে গিয়ে তিনি কোনো মাযহাবী দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটান নি। মন্ত্রী হয়ে তাদের সাথে দয়ার আচরণ করেছেন। ফাতেমী খলিফা আদিদ লি-দীনিইল্লাহর ইন্তেকালের পর তিনি মিশর ও শাম অঞ্চলের সুলতান হয়েছেন।
,
সালাহুদ্দীন আইয়ুবির বন্ধু খাস লেখক ও তার জীবনী রচয়িতা ইবনে সাদ্দাদ ‘আন-নাওয়াদিরুস সুলতানিয়া ওয়াল মাহাসিনুল ইউসুফিয়া’ গ্রন্থে (২৮০-২৮১), এবং আবু শামাহ ‘কিতাবুর রওজতাইন ফী তারিখিদ দাওলাতাইন’ গ্রন্থে— শিয়াদের সাথে সালাউদ্দিন আইয়ুবির আচরণের কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। যেখান থেকে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা ও ঐক্য টিকিয়ে রাখার মানসিকতা পরিলক্ষিত হয়।
ইবনে সাদ্দাদ বর্ণনা করেছেন, “নুরুদ্দিন যানকি সালাউদ্দিন আইয়ুবী নিকট শাম থেকে একজন দূত পাঠালেন। এর মাধ্যমে আদেশ দিলেন, মিশরের মসজিদে মসজিদে যেন, আব্বাসী খলিফাদের জন্য খুতবার মধ্যে দোয়া করা হয়। আর এটা ছিল ইঙ্গিতে আব্বাসীয় খেলাফতের বায়াত গ্রহণ করা এবং ফাতেমী সাম্রাজ্য থেকে সম্পর্কহীনতার আহ্বান। কিন্তু এই অনুরোধ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী ফিরিয়ে দিয়েছেন ফিতনার আশংকায়।”
,
আবু শামা বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করে বলেছেন, “সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এই অনুরোধটি গ্রহণ করেননি। কারণ তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এটা গ্রহণ করলে মিশরবাসীরা তার প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে উঠবে। কারণ তারা বেশিরভাগই শিয়া মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত।”
,
সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহঃ যে ফাতেমী সাম্রাজ্যকে স্বীকার করে নিয়েছেন—বিষয়টি তেমন নয়। বরং তিনিও চেয়েছেন আব্বাসীয় খেলাফতের হাতে বায়াত হয়ে যেতে। কিন্তু পরিস্থিতির জটিলতার কারণে এই বিষয়ে তিনি ধীরস্থিরতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন।
,
ওই পাশ থেকে, নুরুদ্দিন যানকি বারবার তাগাদা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ পাশ থেকে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী তেমন কোনো সাড়া দিচ্ছেন না ইতিবাচক। শেষে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ফাতেমী খলিফা আদিদ। অসুস্থতার দরুন তিনি নামাজে উপস্থিত হতে পারতেন না। এসময় শিয়াদের পরিস্থিতি অনেকটা শীতল দেখে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বায়াত গ্রহণ করে নিলেন আব্বাসী খেলাফতের হাতে। যদি ফাতেমী খলিফার সুস্থতার সময়ে আব্বাসীয় খেলাফতের হাতে বায়াত গ্রহণ করতেন, তাহলে মিশরে শিয়া সুন্নির মাঝে গৃহযুদ্ধ বেধে যেত।
,
সেই অসুস্থতার কিছুদিনের মধ্যেই যখন ইন্তেকাল করলেন ফাতেমী খলিফা আদিদ, তখন সালাউদ্দিন আইয়ুবী অনুশোচনায় পড়ে গিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক আবু শামা বলেছেন, “খলিফা আদিদের ইন্তেকালের পর সালাহুদ্দীন আইয়ুবি অনুশোচনার দরুন বলেছিলেন, যদি জানতাম তিনি এই অসুস্থতার মধ্যেই ইন্তেকাল করবেন, তাহলে তার অসুস্থতার সময় আমি এই সিদ্ধান্ত নিতাম না। বরং তার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করে যেতাম।”
,
সালাহউদ্দিন এবং আদিদের মাঝে যদিও মাযহাবগত দিক থেকে বিরাট ফারাক ছিল, তবুও মৃত্যুর পূর্বে সালাউদ্দিন আইয়ুবীকে আদিদ ওসিয়ত করে গিয়েছিলেন আপন সন্তানদের ব্যাপারে। এ সম্পর্কে আদিদের পুত্র আবুল ফুতুহ বিন আদিদ বলেছেন, “আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার পিতা মৃত্যুশয্যায়। ডেকে আনলেন সালাহুদ্দীন আইয়ুবিকে। আর সোপর্দ করে গেলেন তার হাতে আমাদেরকে। তিনি সর্বদা আমাদের প্রতি যত্নবান ছিলেন এবং আমাদেরকে সম্মানের চোখে দেখতেন।” ঐতিহাসিক আবু শামাহ এটা বর্ণনা করেছেন। ইবনে শাদ্দাদ বলেছেন, “আদিদের ওসিয়ত অনুযায়ী তার পরিবারকে আপন প্রাসাদের এক স্থানে জায়গা করে দিলেন। এবং তাদের দেখাশোনার জন্য কিছু লোক নিয়োগ করলেন।” আবু শামা বলেছেন, “ফাতেমী পরিবারকে দেয়া স্থানটি ছিল প্রশস্ত এবং স্বাচ্ছন্দপূর্ণ।”
ফাতেমী খলিফা যখন ইন্তেকাল করলেন, তখন সালাউদ্দিন আইয়ুবী অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছিলেন, এমনকি ক্রন্দন পর্যন্ত করেছিলেন। তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেছিলেন রাজকীয়ভাবে।
,
,
★সালাউদ্দিন আইয়ুবী ছিলেন একজন একনিষ্ঠ সুন্নি শাসক। পালন করতেন শাফেয়ী মাযহাব। তিনি উম্মাহর ঐক্যের প্রয়াসী ছিলেন। অন্যদিকে মিশরের ফাতেমিরা ছিল কট্টর শিয়া মতবাদের সমর্থক। বাগদাদের খেলাফতে আব্বাসিয়ার সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল তারা।
,
সারা মিশরে তখন আধিপত্য করছিল শিয়া চিন্তাধারা। তিনি ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ চিন্তাকে প্রতিহত করতে চাইলে, তার কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিলনা। কিন্তু এতে শিয়া সুন্নির গৃহযুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই ধীরস্থিরতার সাথে এই সমাজকে তিনি সুন্নি আবহে রূপান্তরিত করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে থাকেন। প্রয়োগিকভাবে না হলেও চিন্তানৈতিকভাবে, কৌশল অবলম্বন করে তিনি এই পথে অগ্রসর হন।
,
এই ক্ষেত্রে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ ছিল, প্রচুর সুন্নি ধারার মাদরাসা নির্মাণ। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো, মাদরাসায়ে নাসিরিয়া, মাদরাসায়ে কামহিয়া, মাদরাসায়ে সাইফিয়া মিশর, মাদরাসায়ে ছালেহিয়া দামেস্ক, মাদরাসায়ে ছালেহিয়া কুদস।
আল-আজহার তখন প্রতাপের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছিল ফাতেমি সাম্রাজ্য ও চিন্তাধারার। কারণ তাদের হাতেই আল-আজহার নির্মিত হয়েছে। এটাকে ভেঙে ফেলা অথবা ফাতেমীদের কর্তৃত্ব থেকে ছিনিয়ে নেয়া এতটা সহজ ছিল না। এখানে তিনি কৌশলের সাথে উদ্দেশ্য আদায় করে নিয়েছেন।
,
খুতবার মধ্যে খলিফার নাম উচ্চারণ করা তখনকার যুগে ছিল শাসকের বৈধতা ও কর্তৃত্বের প্রতীক। মিশরে তখন বড় একটা জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হতো আল আযহারের জামে মসজিদে। এই মসজিদে তিনি জোর করে খলিফার নামে দোয়া করার আদেশ দিয়ে দেন নি। তিনি আল-আজহার থেকে জুমার নামাজকে স্থানান্তর করে দিয়েছেন কায়রোর জামে হাকেমিতে। এভাবে প্রাথমিকভাবে আল-আজহারের চিন্তাগত ক্ষেত্রকে সংকীর্ণ করে ফেলেন তিনি। কিন্তু প্রকাশ্য বিরোধে জড়াননি।
,
★★ফাতেমীদের পক্ষ থেকে কিছু লোক বিদ্রোহ করে বসে সালাউদ্দিন আইয়ুবী বিরুদ্ধে। যুক্ত হয়ে যায় ক্রুসেডারদের সাথে। তখন সালাউদ্দিন আইয়ুবী যাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছিল তাদেরকেই শুধু সাজা দিয়েছিলেন। ব্যাপকভাবে সকল শিয়াদের উপরে শাস্তি প্রয়োগ করেন নি। এছাড়া আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। যারা সালাউদ্দিন আইয়ুবীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, তারা যে শুধু শিয়া ছিল— বিষয়টা এমন নয়। তাদের মধ্যে শিয়া-সুন্নি উভয় দলই ছিল।
,
ইবনুল ইমাদ হাম্বলী ‘শাজারাতুয যাহাব’ গ্রন্থে (৬/৩৮৭) লিখেছেন, যারা বিদ্রোহ করেছিল তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন একজন সুন্নী সাহিত্যিক ও ফকিহ। নাম উমারা বিন আলি আল-মিজহালী। সে ফাতেমীদের সময়ে তাদের গুণগ্রাহী ও ভক্ত ছিল। পরবর্তীতে যখন সালাউদ্দিন আইয়ুবীর সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন সে বাহ্যিকভাবে সুলতানের গুনগান গাইত। কিন্তু ভিতরে ভিতরে লালন করত বিদ্বেষ। কামনা করত পুনরায় ফিরে আসুক ফাতেমীদের সাম্রাজ্য। তাই সে কয়েকজন শিয়া লোককে নিয়ে শলা পরামর্শ করে সালাউদ্দিন আইয়ুবীকে গুপ্তহত্যা করতে মনস্থ করে। সালাউদ্দিন আইয়ুবী তাদের গোপন ব্যাপারটা জানতে পারেন। রমজান মাসে আটজন বিদ্রোহীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন।”
,
এছাড়াও আরো কিছু বিদ্রোহ হয়েছে সালাউদ্দিন আইয়ুবীর বিরুদ্ধে। সেগুলো তিনি শক্ত হাতে দমন করেছিলেন। অনেককে হত্যা করেছেন, তবে এ জন্য নয় যে, তারা শিয়া কিংবা সুন্নি। যারা ষড়যন্ত্র করেছে অথবা বিদ্রোহ করেছে তাদের বিরুদ্ধেই তিনি খড়গহস্ত হয়েছেন। কর্ম হিসেবে প্রতিফল দিয়েছেন, মতবাদ হিসেবে নয়।
,
★এখান থেকে আমাদের সামনে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়।
ক. সালাউদ্দিন আইয়ুবী বুঝতে পেরেছিলেন, মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকার সত্বেও মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন অত্যন্ত জরুরি বিষয়। এজন্যই তিনি ফাতেমী সাম্রাজ্যের অধীন মন্ত্রী হয়েই ক্রুসেডারদের বিরোধিতা করেছিলেন।
,
খ. ফাতেমীয় বংশের রাজত্ব শেষ হয়ে যাবার পরও তাদের প্রতি তিনি দয়া, ভালোবাসা ও অনুগ্রহ দেখিয়েছেন।
,
গ. কখনো যদি তাদের মোকাবেলা করার প্রয়োজন হয়েছে, তাহলে অবশ্যই মোকাবেলা করেছেন। চিন্তার মোকাবেলা করেছেন চিন্তা দিয়ে। সামরিক ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করেছেন তরবারি দিয়ে। কোনো নিরপরাধ শিয়াকে তিনি হত্যা করেননি তার বিশ্বাসের দায়ে।
,
ঘ. তার পূর্বের রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় শিয়া প্রভাব ছিল খুব গভীর। সেখানে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছেন এবং গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন সাধারণ মানুষের নিকট। শিয়া প্রভাব থেকে সুন্নি বলয়ে তিনি মিশর সমাজকে নিয়ে এসেছেন হিকমতের সাথে।
,
ঙ. সালাউদ্দিন আইয়ুবী প্রকৃতপক্ষে কর্ম ও অগ্রগতির পক্ষপাতী ছিলেন। পারস্পারিক লড়াই ও যুদ্ধবিগ্রহে তার মোটেই আগ্রহ ছিল না।
,