সম্মানিত মুফতী সাহেব,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্, আমার প্রশ্নটি আমার বান্ধবীর পক্ষ থেকে,
দেড় বছর হলো আমার বিয়ে হয়েছে, আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলিতে থাকতাম। আমার সমস্যা হলো আমার শশুর বাড়ির লোকদের (বিশেষত, শ্বাশুড়ি এবং দেবরের) মধ্যে অনেক অনেক সমস্যা রয়েছে। উনারা কেও প্র্যাকটসিং না, পর্দা করতে সহায়ক না। উনারা খুব বেশি মিথ্যা কথা বলে, সবাইকে নিয়ে পিছনে খারাপ কথা বলা, নেশা করা, পরকীয়া করা, টেলিভিশন দেখা (বিশেষ করে, ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখা) ইত্যাদি বিভিন্ন রকম সমস্যা আছে। এই পরিবেশে ইসলাম প্র্যাকটিস করা ও পর্দা মেইনটেইন করা প্রায় অসম্ভব।
এইদিকে, শাশুড়ি ও দেবরের টার্গেটই একটা, আমাদের সংসার ভাঙা। আমি শশুর বাড়ির লোকদের সাথে অনেক বার সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করেছি। এখনো করছি কিন্তু তারা আমার পিছনে আমার হাসব্যান্ডকে আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। যেটা সে নিজেও বুঝতে পারছে। আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে, ঝগড়া লাগাতে আপ্রান চেষ্টা করেই চলছে। গত ছয়টা মাস ধরে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে সবসময়ই মনে আতংঙ্ক থাকে। পরিশেষে, গত মাসেই আলাদা বাসা নেয়া হয়। কিন্তু ফোনের মাধ্যেমে এখনো তারা তাদের প্রচেষ্টা করেই যাচ্ছে। শাশুড়ি আর দেবর ই সংসারে বেশি অশান্তি সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, এটা আমার এবং আমার স্বামী দুজনেরই ২য় বিবাহ। আমাদের ছয় মাসের একটি ছোট ছেলে আছে যাকে এই পরিবেশে থেকে দ্বীনি শিক্ষা দেওয়াও প্রায় অসম্ভব। এদিকে আমার স্বামী আর ছেলে তাদের ফার্স্ট ব্লাড ওদের জন্য তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নয়। বতর্মানে, আমার স্বামী কনফিউজড হয়ে তাদের মতো আমার সাথে অকারণে মিথ্যা বলছে। আমার হাসব্যান্ড শান্ত স্বভাবের , কারো হক নষ্ট করতে চান না, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো কিন্তু এখন প্রায় সময় গড়িমসি করে। এই অবস্থায় ছেলেকে মিশতে দিলে তারা তাকেও নষ্ট করে ফেলবে। তারা যেহেতু অতিমাত্রায় ক্ষতিকর।
(শাশুড়ি মাশআল্লাহ বলেনা আর বলতে বলায় আমার উপর তার রাগ অনেক বেড়ে যায়। উনি বলে আমাদের ঈমান অনেক শক্ত আমাদের মাশআল্লাহ বলা লাগে না। আমার বাচ্চা বদনজরে,অন্য কোন শারীরিক কোনো সমস্যা ছিলো না,তবুও না খেয়ে আই সি ইউ তে পর্যন্ত গিয়েছিল। মরতে মরতে বেঁচে ফিরেছিল। আমি বাচ্চার জন্য রুকইয়া করাতে, আমার উপর অনেক রাগ হয়ে আমার খাওয়া দাওয়া রান্না করা বন্ধ করে দেন।)
আমি জানতে চাই, যেহেতু তারা আমাদের সংসার ভাঙ্গার অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল আর এখনো সেই চেষ্টা করছে আর আমরাও তা ষ্পষ্টত জানি, এক্ষেত্রে কি করা উচিৎ? ইসলামের বিধান মতে,তাদের সাথে সম্পর্কটা কেমন হবে বা কিভাবে আমি মেইনটেইন করবো আর আমার হাসব্যান্ড কিভাবে মেইনটেইন করবে তাদের সাথে সম্পর্ক সেটা জানতে চাচ্ছি। এখন এই পরিস্থিতি তে আমাদের করনীয় কি? আশা করি সহজ সমাধান দিবেন, ইংশাআল্লাহ্।
জাযাকাল্লাহ্ খইর।