আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,এক ব্যক্তি প্রবাসে থাকে এমন একটা জায়গা তে কাজ করে সেখানে নামায পড়ার সময় দেয় না,ফলে ফজর টা রুমে সময় মতো পড়ে আর জোহর,আসর,মাগরিব একত্রে করে এশার নামাযের সময় কাযা আদায় করে এটা কি জায়েজ হবে তার জন্য?

আর এই কর্ম ক্ষেত্রে ছাড়া এই যাইগা তে তার আর বিকল্প কোনো রাস্তা নেই বিকল্প রাস্তা সেটা হলো দেশে ফেরত আসতে হবে এই মুহূর্তে তার জন্য এই ভাবে নামায কাযা করে পড়লে কি সেটা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সঠিক সময়ে নামায পড়াই প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

যেমনঃ-আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﻴْﺘُﻢُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻓَﺎﺫْﻛُﺮُﻭﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻗِﻴَﺎﻣًﺎ ﻭَﻗُﻌُﻮﺩًﺍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺟُﻨُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺍﻃْﻤَﺄْﻧَﻨﺘُﻢْ ﻓَﺄَﻗِﻴﻤُﻮﺍْ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﻣَّﻮْﻗُﻮﺗًﺎ
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা আন-নিসা-১০৩)

বিশেষকরে আছরের নামায সঠিক সময়ে পড়া বিশেষ গুরুত্ববহ।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺣَﺎﻓِﻈُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕِ ﻭﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻮُﺳْﻄَﻰ ﻭَﻗُﻮﻣُﻮﺍْ ﻟِﻠّﻪِ ﻗَﺎﻧِﺘِﻴﻦَ
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।(সূরা বাক্বারা-২৩৮)



ফজরের নামাযের সময়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবায়ে কেরাম রাযি এর ঘুমের কিচ্ছা সম্ভলিত বর্ণনা। যখন সাহাবায়ে কেরাম ঘুম থেকে উঠার পর পরস্পর কানে কানে বলেছিলেন-
ٍ" ﻣَﺎ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓُ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﻨَﺎ ﺑِﺘَﻔْﺮِﻳﻄِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻼﺗِﻨَﺎ " ﻓﻘَﺎﻝَ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ : " ﺃَﻣَﺎ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﺗَﻔْﺮِﻳﻂٌ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻔْﺮِﻳﻂُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳُﺼَﻞِّ ﺍﻟﺼَّﻼﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺠِﻲﺀَ ﻭَﻗْﺖُ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ﻓَﻤَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴُﺼَﻠِّﻬَﺎ ﺣِﻴﻦَ ﻳَﻨْﺘَﺒِﻪُ ﻟَﻬَﺎ ."
আমরা আমাদের নামায সম্পর্কে যে সীমালঙ্ঘন করেছি,সম্ভবত সেটা কোনো কাফফারা হবে না।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ঘুমের মধ্যে কোনো সীমালঙ্ঘন নেই।সীমালঙ্ঘন তো হল সেই ব্যক্তির ব্যাপারে যে নামায পড়ল না অথচ আরেকটি নামাযের ওয়াক্ত তার সামনে চলে আসল।সুতরাং যে ব্যক্তি নামাযের সময়ে ঘুমিয়ে থাকবে, যখনই সে জাগ্রত হবে তখনই যেন সে নামাযকে পড়ে নেয়।
সহীহ মুসলিম-৬৮১


এ হাদীসের এ অর্থ নয় যে,মানুষ ইচ্ছা করে ঘুমিয়ে যাবে,এবং তার নামায ছুটে যাবে।অতঃপর সে ঘুমকে উযর হিসেবে সাব্যস্ত করবে।অর্থাৎ নামাযের জন্য অন্তরায় মূলকরকোনো কাজকে সে বেছে নিবে,অতঃপর সে উক্ত কাজকে উযর হিসেবে পেশ করবে।
বরং মানুষের উপর ওয়াজিব যে,নামাযের সহায়ক সকল প্রকার আসবাবকে সে যথাসাধ্য গ্রহণ করবে।যেমন উপরোক্ত ঘটনায় রাসূলুল্লাহ সাঃ নামাযের সহায়ক যথাসাধ্য ব্যবস্থা করেছিলেন। কেননা সে ঘটনায় আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ একজন কে রাত্রে পাহারাদারি সহ ফজরের সময়ে জাগানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন।কিন্তু সেই ব্যক্তির চোখে প্রচন্ড রকমের ঘুম চলে আসার ধরুণ তিনি কাউকে জাগাতে পারেননি।সুতরাং এমন অবস্থায় লোকজন মা'যুর(শরীয়ত অনুমোদিত অপারগ) হিসেবে গণ্য হবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত চাকুরী ব্যতীত বিকল্প কোনো চাকুরী অন্বেষণ করা আপনার উপর ওয়াজিব।প্রয়োজনে দেশকেও বদলাতে পারেন।তথা নিজ দেশে এসে ব্যবসাবাণিজ্য করার সত তহবিল সংগ্রহ করে,বা ভিন্ন দেশ/কাজ এর ভিসা সংগ্রহ করার মত তহবিল সংগ্রহ করা পর্যন্ত উক্ত চাকুরী করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...