আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহ

১/ কেক বেকিং পারি আলহামদুলিল্লাহ।কোনো হারাম বা নাজায়েজ প্রোগ্রাম এর জন্য কেক বানাই না কখনো আলহামদুলিল্লাহ।এখন এটা কে আমি অনলাইন বিজনেস এ নিয়ে আসতে চাচ্ছি।এখানেও বলে দেওয়া হবে এসব প্রোগ্রাম এর কেক বানানো হয় না।ফ্রী মিক্সিং কোনো প্রোগ্রাম এর জন্য ও না।শুধু নাস্তা হিসেবে কেক খেতে চাইলে দেওয়া হবে ইং শা আল্লাহ।এটা ঠিক হবে তো?

প্রশ্ন হচ্ছে আমি একটা কেক বেকিং কোর্স করাবো।নিয়্যত টা আল্লাহ তাআ' লার জন্য ই ইং শা আল্লাহ।কিন্তু আমি যাদের শেখাবো তাদের অবশ্যই হারাম হালাল ক্লাসে বলে দিবো ইং শা আল্লাহ।কিন্তু এরপর ও যদি কেউ হারাম বা নাজায়েজ কাজের জন্য কেক বানায় যেহেতু আমি শিখাইছি তাহলে কি আমার গুনাহ্ হবে??আমি না জেনে থাকলেও??

অনলাইন ক্লাসে মুখ দেখানো হবে না এবং হাতে গ্লাভস থাকবে।সব বোন রা ই থাকবেন ।কিন্তু কণ্ঠ তো শুনা যাবে এক্ষেত্রে বলা হয়েছে নন মাহরাম বা পুরুষ দের সামনে ভিডিও দেখা যাবে না।এরপর ও কি কণ্ঠের জন্য গুনাহ্ হবে??


২/আমি পেইন্টিং এর কাজ করি পোশাকে।এক্ষেত্রে বিজনেস গুলোতে শাড়ি বা ড্রেস বিক্রি করলে (বিক্রি করা হবে সম্পূর্ণ বৈধ উপায়ে)  কেউ যদি সেই শাড়ি বা ড্রেস টা বাহিরে পরে মানে বেপর্দার নারী হয়,আর তার সৌন্দর্য প্রকাশে আমার হাতের কাজের পোশাক টা ব্যাবহার করে সেক্ষেত্রে কি আমি গুনাহগার হবো??

এমন পোশাক বিক্রি কি জায়েজ হবে না??

আমাকে একটু জানাবেন ইং শা আল্লাহ।


জাজাকুমুল্লাহু খায়ের

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কাছে কোর্স করে কেউ যদি হারাম বা নাজায়েজ লাজের জন্য কেক বানায়,এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।
গুনাহ তাদেরই হবে।

উক্ত কোর্স কোনো পুরুষ মানুষ না দেখলে,তারা কন্ঠ না শুনলে সেক্ষেত্রে আপনার কণ্ঠের জন্য গুনাহ হবেনা।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾ 

যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)

وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی

কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)

(০২)
https://www.ifatwa.info/242 ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়, তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ- 

প্রথম অবস্থাঃ- 

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। 

দ্বিতীয় অবস্থাঃ-

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।

একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন, তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।(সূরা মায়েদা-০২)  

অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

 عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةًسِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا» 

উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন, আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি কোনো ক্রেতা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন এরা এসব পোশাক পরিধান করে বেপর্দায় চলাচল করবে,তাহলে সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক তাদের কাছে বিক্রয় করবেননা।

★তবে তাদের কাছে বিক্রয় করলেও এই ইনকামকে হারাম বলা যাবেনা।
উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ থাকায় সতর্কতামূলক তাদের কাছে এ ধরনের পোশাক বিক্রয় না করাই উচিত। 

তবে কাহারো সম্পর্কে এমনটির ব্যাপারে নিশ্চিত না হলে তার কাছে পোশাক বিক্রয় করতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...