বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পিরিয়ড শেষে ফরজ গোসলে যখন গোপনাঙ্গের লোম পরিস্কার করা হয় তখন কিছু ২/৩ টা লোম যদি একদম নিচের দিকে থেকে যায় যা কোনোভাবেই রেজার দিয়ে পরিস্কার করা যাচ্ছে না, তাহলে তাতে ফরজ গোসল ও পবিত্রতা অর্জিত হবে, এতে কোনো সমস্যা নাই।
অর্থাৎ লোম এমন জায়গায় যেখানে পরিস্কার করা টাফ এবং বিপদজনক! তাই সেক্ষেত্রে উক্ত স্থান সাবান দিয়ে ভালোভাবে ওয়াশ করে নিলেই হবে।
ক্রিম হারাম হলেও কি ব্যবহার করা যাবে পরিস্কার করার জন্য?
এমন প্রশ্নের জবাবে আমরা বলব,
কোন হারাম জিনিষির মূল স্বত্ত্বা যখন পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন সেটা জায়েজ হয়ে যায়।এটা ফিকহের মূলনীতি সমূহের একটি।
ফুকাহায়ে কেরাম ভিন্ন আরেকটি হাদীসের আলোকে ঐ মূলনীতিকে সংকুচিত করেন,
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)
ফুকাহায়ে কেরাম মূলসত্বা পরিবর্তিত হয়ে গেলে শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্ত অনুমতি দেন।নতুবা সতর্কতামূলক এসব জিনিষ থেকে বেঁচে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।যেমন কোথাও হালাল সাবান পাওয়া না গেলে সেখানে উক্ত হারাম সম্বলিত মূল সত্বা পরিবর্তিত জিনিষের সাবান ব্যবহার জায়েয রয়েছে।
সর্বোপরি এত্থেকে বেঁচে থাকাই তাকওয়ার দাবী।