بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/82634/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইবনে আবেদীন শামী রাহ. জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি
তুলে ধরেন। যাকে আমাদের সামনে আসলে, ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূর হয়ে যাবে
ইনশা'আল্লাহ।
তিনি বলেনঃ
وَكُلُّ مَنْ
اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ
الْحَرَامِ فِيهِ اهـ
যে বক্তি কোনো জিনিষ বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট
করজে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে
ইলম অর্জন করা ফরয। যাতে করে উক্ত বিষয় ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে
বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)..................বিস্তারিত-https://www.ifatwa.info/1893
আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয়
থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই
পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য
শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই
এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও
বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয। অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট
হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রত্যেকের
জন্য দ্বীনি ইলম অর্জ করা ফরজ। ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এই যে,
প্রতিটি শিক্ষার্থী ফরজ পরিমাণ ইলম অর্জন করতে পারে ও নিজেকে একজন দাঈ হিসেবে তৈরী
করতে পারে বা নিজের মাঝে দাওয়াতী চেতনা লালন করতে পারে।
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি আপনার ফরজে আইন
ইলম অর্জন হয়ে যায় এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসায়
পড়াশুনা স্থগিত রেখে ভার্সিটির পড়াশুনা কন্টিনিউ করেন এতে গুনাহ হবে না। তবে
সর্বপরি শতভাগ দ্বীন মেনে চলার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আপনার
জন্য দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকা সহজ করুন। আরো জানুন: https://ifatwa.info/14502/