আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
344 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আস্সালামুআলাইকুম।
পেট থেকে বের হওয়া তরল কি ওযু ভঙ্গের কারণ হবে ? আমার বাচ্চা কে জি-টিউব (পেটের সাথে সংযুক্ত করা নল)  দিয়ে খাওয়াতে হয়, ও মুখ দিয়ে খেতে পারেনা। এর ফলে কিছু তরল (পানি  বা দুধ জাতীয় অথবা পেটের গেঁস্ট্রিক জুস) বের হয় এবং শরীরে লেগে যায়, এর ফলে কি ওযু ভঙ্গ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু ভেঙ্গে যাবে।
আপনি জি-টিউব ব্যবহারের পর উক্ত জায়গা পরিস্কার করে তারপর অযু করবেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ رَجَعَ فَبَنَى وَلَمْ يَتَكَلَّمْ

হযরত নাফে রহঃ থেকে বর্ণিত। হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ এর যখন নাক দিয়ে রক্ত বের হতো, তখন তিনি নামায থেকে ফিরে গিয়ে অযু করতেন, তারপর ফিরে এসে বাকি নামায আদায় করতেন, এর মাঝে তিনি কথা বলতেন না। [মুয়াত্তা মালেক-১১০, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৩]

عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «إِذَا رَعَفَ الرَّجُلُ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ الْقَيْءُ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا فَإِنَّهُ يَنْصَرِفُ وَيَتَوَضَّأُ، ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُتِمُّ مَا بَقِيَ عَلَى مَا مَضَى، مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ

হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। নামাযের মাঝে কারও নাক দিয়ে রক্ত বের হলে বা বমি হলে অথবা মযী দেখলে সে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দিয়ে অজু করবে, তারপর ফিরে এসে ছুটে যাওয়া নামায পূর্ণ করবে যতক্ষণ না সে কথা বলে। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৬০৯, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৩]

عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «إِذَا وَجَدَ أَحَدٌ رِزًّا أَوْ رُعَافًا أَوْ قَيْئًا فَلْيَنْصَرِفْ وَلْيَضَعْ يَدَهُ عَلَى أَنْفِهِ، فَلْيَتَوَضَّأْ، فَإِنْ تَكَلَّمَ اسْتَقْبَلَ وَإِلَّا اعْتَدَّ بِمَا مَضَى

হযরত আলী রাঃ বলেন, তোমাদের কেউ যখন তার পেটে [বায়ুজনিত] পীড়া অথবা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া বা বমি লক্ষ্য করে, সে যেন নাকে হাত দিয়ে বের হয়ে গিয়ে অজু করে নেয়। যদি কথা বলে থাকে তাহলে নতুন করে নামায পড়বে। আর কথা না বলে থাকলে আগের আদায়কৃত অংশকে গণ্য করবে। [মুসন্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৬০৭]

عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّهُ كَانَ لَا يَرَى الْوُضُوءَ مِنَ الدَّمِ إِلَّا مَا كَانَ سَائِلًا

হযরত হাসান বসরী রহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি এমন রক্তের কারণে অজু করা জরুরী মনে করতেন যে, যা স্বীয় স্থান থেকে বেরিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে। [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-১/১৩৭, হাদীস নং-১৪৫৯]

عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي الرَّجُلِ يَبْزُقُ فَيَكُونُ فِي بُزَاقِهِ الدَّمُ، قَالَ: «إِذَا غَلَبَتِ الْحُمْرَةُ الْبَيَاضَ تَوَضَّأَ، وَإِذَا غَلَبَ الْبَيَاضُ الْحُمْرَةَ لَمْ يَتَوَضَّأْ

হযরত ইবরাহীম নাখয়ী রহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি থুথু ফেললো, তখন সে তার থুথুতে রক্ত দেখলো, তাহলে যদি লাল বর্ণ শুভ্রতার উপর প্রাধান্য দেখে, তাহলে অজু করবে। আর যদি শুভ্রতা লাল বর্ণের উপর প্রাধান্য দেখতে পায়, তাহলে অজু করতে হবে না। [মুসন্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৩৩২]
,
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)
,
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْيٌ، فَلْيَنْصَرِفْ، فَلْيَتَوَضَّأْ
যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অযু করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)
,
وکذا ینقضہ علقة مصّت عضوًا وامتلأت من الدم لإنہا لو شقت یخرج منہا دم سائل (الشامي، ط زکریا، ج۱ ص۲۶۸)
সারমর্মঃ শরীর থেকে জমাট বাধা রক্ত বের হওয়ার দ্বারা অযু ভেঙ্গে যাবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...