ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে এসেছে-
حَدَّثَنَا
شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ،
أَنَّ عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو، - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم - دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَقَالَ أَىْ بُنَىَّ
إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ
شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ " .
হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জনৈক সাহাবী
আয়েয ইবনু ‘আম্র (রাঃ) একদা ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ (রহঃ)-এর নিকট গেলেন। তখন তিনি
তাকে লক্ষ্য করে বললেন, ছেলে! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে
বলতে শুনেছি “নিকৃষ্টতম রাখাল হচ্ছে অত্যাচারী শাসক।” তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া
থেকে সাবধান থাকবে...। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৪৬২৭) হাদিসের মান
: সহিহ হাদিস
উক্ত
হাদীসে অন্যের ছেলেকে ছেলে বলে ডাকা হয়েছে।
কুরআনে আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর স্ত্রীদেরকে আমাদের মা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যদিও তারা আমাদের জন্মদাত্রী মা নয়
এবং ইবরাহীম আ. কে আমাদের পিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও তিনি আমাদের জন্মদাতা
পিতা নয়।
অনুরূপভাবে ছোটদের প্রতি স্নেহ ও মমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে
তাদেরকে ‘ছেলে ও মেয়ে’ বা (বাবা-মা) বলাও প্রচলিত রয়েছে। এটিও দূষণীয় নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনাস রা. কে বলেন, يا بُنيِّ إذا دخلت على أهلك فسلم “হে আমার বৎস, তুমি বাড়িতে
প্রবেশ করলে বাড়ির লোকদেরকে সালাম দিবে।” (সহীহ মুসলিম)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নিজের ছেলে ও মেয়েকে বা ভাতিজা ও ভাতিজিদেরকে আদর করে আব্বু-আম্মু বলে ডাকা যাবে। এতে কোনো সমস্যা
নেই। এর দ্বারা তাদের প্রতি স্নেহ প্রকাশ করা
উদ্দেশ্য। অর্থাৎ তুমি আমার কাছে পিতা বা মাতা তুল্য। অনুরূপ সমবয়সী ব্যক্তিকে ভাই
বলে সম্বোধন করাও বৈধ। যখন এর দ্বারা আন্তরিকতা প্রকাশ করা উদ্দেশ্য হয়।