ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/54308/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানা, তাদের সাথে উত্তম আচরণ
করা শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا
الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ
كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا
“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি।
তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ
করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)
সর্বদা পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ও তাদের কথা মান্য করা
সন্তানের দায়িত্ব৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَقَضَىٰ
رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ
إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل
لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য
কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই
যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং
বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৩)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
মাতাপিতার পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। সকলের জন্য
উচিত হলো মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে প্রশ্নে
উল্লেখিত বিয়ে করা। যেকোনো মেয়েকে/ছেলেকে বিবাহের
ক্ষেত্রে পরিবারকে বুঝিয়ে রাজি করানো জরুরি।
□ মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে এবং
মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম। মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে
জীবনে সূখী হওয়া যাবে না। তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।
পিতা মাতা সাধারণত সন্তানদের থেকে ভালো বুঝেন৷ সর্বদা তারা সন্তানদের কল্যাণ চান৷ বিশেষ
করে বিয়ে শাদীর বিষয়ে পিতা মাতার মতকেই প্রাধাণ্য দেওয়া উচিত৷ অন্যথা
কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ https://www.ifatwa.info/4541/
গোনাহ করে বলে বেড়ানো নিষেধ- https://ifatwa.info/32877/
গোনাহের শাস্তি ও তাওবা- https://www.ifatwa.info/906
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, আপনি যেহেতু ঐ
ছেলের সাথে ৫/৭ বছর (হারাম) সম্পর্কে আছেন
এবং আপনার ও আপনার পরিবারের লোকজনেরও ঐ ছেলেকে পছন্দ করেন। তাই তার সাথেই
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আপনার জন্য ভালো হবে মনে হয় (বাহ্যিক দৃষ্টিতে)।
উল্লেখ্য যে, উক্ত হারাম সম্পর্কের কারণে অবশ্যই আপনাকে আল্লাহ তায়ালার কাছে মাফ চাইতে হবে এবং তওবা করতে হবে। জাহান্নামের শাস্তি অনেক কঠিন। তাই হারাম রিলেশন থেকে বিরত থাকা
চাই। আল্লাহকে ভয় করতে হবে। হারাম সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো বিস্তারিত জানুন-
https://ifatwa.info/54308/